ভারতে সেলাই মেশিন তৈরির নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছে বাঙালি কোম্পানি বেঙ্গল সো মেশিনারি

সেলাই মেশিন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেলাই মেশিনে ভর করে বহু মানুষ জীবন-নির্ধারণ করে। ১৯৮৪ সালে স্বর্গীয় এ.কে. শিকদার মানুষকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্য নিয়ে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন। এক কথায় সেলাই মেশিন তৈরির একটি নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছে বি.এম.এস বা বেঙ্গল সো মেশিনারি। বিগত ৩০ বছর ধরে মিলিয়ন মানুষের কাছে বিশ্বস্ত কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বি.এম.এস। 

৩২৭ রকমের সেলাই মেশিন উৎপাদন করে থাকে এই কোম্পানি। হাইড্রলিক কাটিং প্রেস, লাস্টিং লাইন মেশিন, লেজার কাটিং এন্ড এনগ্রেভিং মেশিন, কম্পিউটারাইজড সিউয়িং মেশিন, অ্যাঢেশিভ অ্যাপ্লিকেটর মেশিন, কাটিং এন্ড ফিনিশিং মেশিন, সাপোর্ট এন্ড ফিনিশিং মেশিন, প্রিন্টিং স্ট্যাম্পিং এন্ড এমবশিং, ফুটওয়ার এন্ড লেদার টেস্টিং মেশিন, সোল স্টিচিং মেশিন, জিগ জ্যাগ মেশিন, পোস্ট বেড মেশিন, সিলিন্ডার বেড মেশিন, বিভিন্ন রকমের কনভেয়ার মেশিন, গারমেন্ট মেশিন ইত্যাদি বানিয়ে থাকে বি.এম.এস।

বর্তমানে সারা বিশ্বেই বিক্রি হয়ে থাকে বি.এম.এস কোম্পানির সেলাই মেশিন। পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ফুটওয়ার, স্পোর্টস এবং ব্যাগ তৈরির মেশিন উৎপাদন করে থাকে বি.এম.এস.। এই কোম্পানির মালিক মনোজ শিকদারের নেতৃত্ব ও এই কোম্পানির ৩০ জন গবেষক আধুনিক মান সম্পন্ন মেশিন তৈরি করছে।

বাঙালির একটি অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানি হল বি.এম.এস। যদিও দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৮৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে লাইসেন্সিং এর সমস্যা হওয়ায় এই কোম্পানির কারখানা খুলতে হয় হরিয়ানাতে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কর্তব্য হওয়া উচিত এরকম ভাবে বহিঃরাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি কোম্পানি গুলির সাথে কথা বলে বাংলায় বিনিয়োগ টেনে আনা। বাঙালির বহু ব্যবসায়ী থাকা সত্বেও তাদেরকে এক করার চেষ্টা কোনো কালে হয়নি; যা বাঙালির জন্য দুর্বলতা হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়েছে। এই বিষয়টির অবসান ঘটানোর জন্য এটাই উপযুক্ত সময়।

প্রতিবেদন- অমিত দে