রাজ্যপ্রাণী বাঘরোলের জন্য বিশেষ জলাশয় নির্মিত হলো আলিপুর চিড়িয়াখানাতে
বাংলার রাজ্যপ্রাণী হলো বাঘরোল। যার অপর নাম হলো মেছো বিড়াল। এদের প্রধান খাদ্য মাছ তাই মেছো বিড়ালও বলা হয় বাঘরোলদের। এরা সাধারণত নদীর তীর, জলাভূমি এবং ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে বসবাস করে। ২০১৬ তে আইইউসিএন এর লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় বাঘরোল। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার প্রাণী। এশিয়ার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বর্তমানে আমতা ১ নং ও ২ নং ব্লকে বাঘরোল সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
এককালে বাংলার গ্রামে গ্রামে দেখা যেত বাঘরোলদের৷ এখন আর খুব বেশি দেখা যায়না। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত বাঘরোল। বাস্তুতন্ত্রের বিনাশই এদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রধান কারণ। তাছাড়াও অনেক জায়গাতে গ্রামবাসীরা বাঘরোলদের বাঘের বাচ্চা ভেবে ভুল করে তাদের মেরে ফেলে। বাঘরোলের মৃত্যুর খবর প্রায়ই উঠে এসে সকালের শিরোনামে। বাঘরোল সংরক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তাদের উদ্যোগে আলিপুর চিড়িয়াখানাতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি জলাশয়। বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানাতে মোট ১২ টি বাঘরোলের বসবাস। যার মধ্যে ৩ টি পুরুষ ও ৩ টি স্ত্রী বাঘরোলকে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রজনন প্রকল্পের জন্য। খাঁচা থেকে সরিয়ে এদেরকে জলাশয়ে স্থানান্তরিত করা হবে৷
আলিপুর চিড়িয়াখানাতে আর কোনোদিন বাঘরোলদের রাখা হবে না খাঁচায়। চিড়িয়াখানার মধ্যেই এবার তৈরি হবে বিকল্প বাস্তুতন্ত্র। বাঘরোলের প্রজনন ঘটাতেই এই বিশেষ জলাশয়টি নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলার নিজস্ব প্রাণী বাঘরোলকে বাঁচানো অত্যন্ত প্রয়োজন। নাহলে কয়েক বছরের মধ্যে লুপ্ত হয়ে যেতে পারে বাঘরোল।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment