দুর্গাপুরের এমডি ইন্ডিয়া হেলথ ইন্সুরেন্সের অফিসে বাংলায় পরিষেবার দাবীতে ডেপুটেশন বাংলা পক্ষের
বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত রাখার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেটা ব্যাঙ্কের ফর্ম হোক বা রেলের টিকিট সবক্ষেত্রেই বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত রাখা হয়। বাঙালির অসচেতনতার বশে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বাংলা ভাষা। রাজ্যের প্রত্যেক জেলা শহর থেকে শিল্পাঞ্চল সব জায়গাতে বাংলা ভাষা যেন আজকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষাকে বঞ্চিত রাখার বিরুদ্ধে বহুদিন থেকেই লড়াই করছে 'বাংলা পক্ষ'।
পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গাপুরের এমডি ইন্ডিয়া হেলথ ইন্সুরেন্সের অফিসে বাংলাতে পরিষেবা দেওয়া হয়না। অফিস তার নিজস্ব নিয়মে চলে। কোনো বাঙালিকে তার মাতৃভাষায় পরিষেবা দিতে বিন্দুমাত্র রাজি নয় অফিসটি। অফিসের নিয়ম অনুযায়ী, কেবলমাত্র হিন্দি ও ইংরেজিতেই ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো সত্বেও তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
দুর্গাপুরের এমডি ইন্ডিয়া হেলথ ইন্সুরেন্সের অফিসে বাংলায় পরিষেবা না থাকার জন্য বহু গ্রাহককে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যে কারণে গত ১২ ই জুলাই পশ্চিম বর্ধমান বাংলা পক্ষের কর্মী সমর্থকরা দুর্গাপুর শাখার ওই অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবার দাবীতে ডেপুটেশন জমা দেন। এই ডেপুটেশন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন অর্ক ব্যানার্জী, তন্ময় গড়াই, অর্পণ গুঁই, আকাশ পৈতন্ডী, রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।
উক্ত ডেপুটেশন কর্মসূচীর প্রসঙ্গে দুর্গাপুর পূর্ব বাংলা পক্ষের সম্পাদক অর্ক ব্যানার্জী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ একটি ভাষার ভিত্তিতে গঠিত হওয়া রাজ্য। এই রাজ্যে ৮৬ শতাংশ বাঙালি যাদের অধিকাংশ বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা জানেন না। তাই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাতে পরিষেবা না পাওয়া বাংলা ও বাঙালির প্রতি অন্যায়। তাই আমরা এমডি ইন্ডিয়া হেলথ ইন্সুরেন্স দুর্গাপুর শাখার অফিসে বাংলায় পরিষেবার দাবীতে ডেপুটেশন দিলাম। সংস্থার কর্মচারীরা ডেপুটেশনটি গ্রহণ করেছেন। এই পদক্ষেপে কাজ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার কথা ভাবছি আমরা"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment