মাটির হাঁড়ি ও ইমারসন হিটার দিয়ে ভ্যাপোরাইজার বানিয়ে চমক রায়গঞ্জের অনির্বাণ চৌধুরীর
অল্প খরচে ভ্যাপোরাইজার তৈরি করলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা অনির্বাণ চৌধুরী। ছোট্ট মাটির হাঁড়ি ও ইমারসন হিটার দিয়ে তিনি বানিয়েছেন ভ্যাপোরাইজারটি। যা অবাক করেছে রায়গঞ্জবাসীদের। অনেকে আবার এটা বাড়িতে ব্যবহার করাও শুরু করে দিয়েছেন।
কীভাবে তিনি বানালেন এই ভ্যাপোরাইজারটি? অনির্বাণ বাবু ৪০০ টাকার বিনিময়ে প্লাস্টিকের বাকেটযুক্ত ভ্যাপোরাইজার কেনেন৷ কিছুদিন পর তিনি লক্ষ্য করেন গরম জলের ভাপ নেওয়ার সময় প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধ বেরোচ্ছে। এমনিতেই প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণের অন্যতম উপাদান৷ তিনি চিন্তা করেন যে প্লাস্টিকের বিকল্প ভ্যাপোরাইজার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই চিন্তাভাবনার ফলশ্রুতিতে তিনি প্লাস্টিকের বিকল্প এক ভ্যাপোরাইজারের জন্ম দিলেন।
তার ভ্যাপোরাইজারটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ৫০ টাকা। এই ভ্যাপোরাইজার মেশিনে কেবল দুটো বস্তুর প্রয়োজন। একটি পাঁচ টাকা মূল্যের মাটির হাঁড়ি এবং বাজারজাত ইমারশন হিটার। বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামের মধ্যেই ইমারশন হিটার কিনতে পাওয়া যায়। প্রথমে হাঁড়ির ওপরের অংশে একটি গর্ত করে ইমারশন হিটারটি ঢুকিয়ে নিতে হবে। এরপর হাঁড়িতে জল রেখে হিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ করলেই কিছুক্ষণের মধ্যে জল ফুটতে থাকবে। তারপর তা থেকে সহজেই ভাপ নেওয়া যাবে। এতে প্লাস্টিকের পোড়া গন্ধ পাওয়া যাবে না৷ এমনকি এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
অনির্বাণ চৌধুরী বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পাঠরত। পাশাপাশি তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। এর আগেও তিনি দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নানান বিষয়ের ওপর মডেল বানিয়ে সাফল্য অর্জন করেছেন। ভবিষ্যতেও নানান মডেল বানিয়ে মানুষের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে চান তিনি৷
করোনা সংক্রমণ রোধে অনেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ পালন করছেন। শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে অধিকাংশ লোকজন নিয়মিত গরম জলের ভাপ নিচ্ছেন। এর ফলে ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায় বলে জানাচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। যার ফলে প্লাস্টিক ও স্টিলের ভ্যাপোরাইজারের চাহিদা রাতারাতি বেড়েছে। যেগুলো বাজারে এখন ৪০০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু অনির্বাণ বাবুর তৈরি ভ্যাপোরাইজার ৫০ টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment