তৃতীয় সাউথ এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়
কলকাতা শহরের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়ানুষ্ঠান হল সাউথ এশিয়ান গেমস ১৯৮৭। প্রথম দুটি সাউথ এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল যথাক্রমে কাঠমান্ডু ও ঢাকায়।
মোট ৭টি দেশ যথাক্রমে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্থান অংশগ্রহণ করে থাকে। সাউথ এশিয়ান গেমসে যেসব খেলাগুলি হয় তা হল ফুটবল, সুইমিং, ওয়াটার পোলো, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, বক্সিং, ভলিবল, কুস্তি, ভারোত্তলন, কাবাডি এবং অ্যাথলেটিক্সের বিভিন্ন খেলা যেমন দৌড়, ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড, লং জাম্প, হাই জাম্প, ডিস্কাস থ্রো ইত্যাদি।
১৯৮৭ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসের প্রায় ৪৩ শতাংশ জিততে সমর্থ্য হয় ভারতের বিভিন্ন খেলোয়াড়। ফুটবলে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপালকে হারিয়ে। পিটি ঊষার পারফরম্যান্স ছিল অন্যতম। উড়ন্ত শিখ মিলখা সিং মশাল জ্বালিয়ে এই গেমসের সূচনা করেছিলেন। কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই খেলা।
এই খেলায় ভারত ৯১ টি সোনা, ৪৫ টি রৌপ্য এবং ১৯ টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে মোট ১৫৫ টি পদক জিতে প্রথম স্থান অধিকার করে। মোট ৬৯ টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে পাকিস্তান। ৪ টি সোনা সহ মোট ৩৪ টি পদক জিতে তৃতীয় হয় শ্রীলঙ্কা। ৩ টি সোনা সহ মোট ৫৪ টি পদক জিতে চতুর্থ স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ।
কলকাতায় বা বাংলার অন্যান্য শহরে এরকম খেলা যত আয়োজিত হবে ততই বাড়বে খেলার গুরুত্ব, তাই এসব খেলা যাতে বাংলা আরো বেশি করে পায় তার জন্য বাংলার রাজনীতিবিদ ও ক্রিড়াপ্রেমীদের সচেষ্ট হতে হবে।
২০১৭ এর ফিফা অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল সহ ১০ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতায়। ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ ও ১৯৮৭ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতায়। ১৯৯৭ সালে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল কলকাতায়। ১৯৭৫ সালে টেবিল টেনিস বিশ্বকাপও হয়েছিল কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। ১৯৮১ সালে এশিয়ান বাস্কেটবল কনফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০২ সালে এশিয়ান বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপও অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতায়। ২০২১ সালে ফিফা অনুর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা কলকাতায়, যদিও পুরোটাই নির্ভর করছে করোনার পরিস্থিতির ওপর।
বাঙালি হিসেবে আমাদের প্রার্থনা ভবিষ্যতে বাংলার বিভিন্ন শহরে এরকম খেলার আসর বসবে এবং বিশ্বক্রীড়ার মানচিত্রে বাংলার নাম উজ্জ্বল হবে।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment