ঘন্টায় ২৫৫১ টি পুশ আপ করে গিনেস বুকে নাম তোলার দোরগোড়ায় বাংলার যুবক
শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ও পেশীবহুল চেহারা গড়তে পুশ আপকে হাতিয়ার করে থাকে বডিবিল্ডাররা। বুক, কাঁধ, মাংস পেশীকে শক্তিশালী করে তোলে পুশ আপ। এটি অত্যন্ত কঠিন একটি ব্যায়াম। যা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়৷ পুশ আপ ব্যায়ামটি দেখে মনে হতে পারে বেশ কঠিন কিন্তু এই ব্যায়ামটা করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
এই পুশ আপকে ভালোবেসে গিনেস বুকে নাম তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন এক বাঙালি যুবক। তমলুকের কাকগেছিয়ার বাসিন্দা শেখ আজিজুরের কাছে গিনেস বুকে নাম তোলার এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। মাত্র এক ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে মোট ২৫৫১ বার পুশ আপ করে এই সুযোগ তিনি অর্জন করেছেন। দরিদ্র পরিবারে জন্মানো আজিজুর এর আগে পুশ আপ করে জায়গা করে নিয়েছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। তিনি বাঁশ কাঠ ও সিমেন্ট দিয়ে নিজের হাতে জিমন্যাস্টিকের যন্ত্রাংশ তৈরি করে থাকেন৷
দশটা থেকে বিশটা পুশ আপ দিতেই যেখানে সাধারণ ছেলেদের রক্ত জল হয়ে যায় সেখানে আজিজুর বাবু ঘন্টায় ২৫৫১ বার পুশ আপ দিতে পারেন। এমন ক্ষমতার অধিকারী খুব কম ব্যক্তিই হয়ে থাকেন। জানা যাচ্ছে, গিনেস বুকে নাম তুলতে গেলে ঘন্টায় ২২০০ টি পুশ আপ যথেষ্ট। অথচ আজিজুর বাবু ঘন্টায় ২৫৫১ টি পুশ আপ করছেন৷ ফলে ধরেই নেওয়া যায় গিনেস বুকে তার নাম উঠতে আর বেশি দেরী নেই। তার গিনেস বুকে নাম তোলা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
দারিদ্র্যতার সঙ্গে শেখ আজিজুর ক্রমাগত লড়াই করলেও দমে যাননি তিনি৷ প্রথমে ফিট থাকার জন্য ব্যায়ামের দিকে ঝুঁকেছিলেন তিনি৷ পরিকাঠামোর অভাবে এগোতে পারেননি তিনি। তবে কথাই আছে 'ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়'। তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইচ্ছের কাছে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাও যে হেরে যায় তা স্বচক্ষে দেখালেন তিনি।
শেখ আজিজুরের দু'চোখে এখন শুধু স্বপ্ন সত্যি করার পালা। তিনি দিন কাটাচ্ছেন গিনেস বুকে নাম ওঠার অপেক্ষায়। এখানে নাম তোলা তো আর সহজ কথা নয়। কজনের ভাগ্যেই বা জোটে এমন সুযোগ। তাই তিনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। তার গিনেস বুকে নাম বেরোনো কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment