Header Ads

বর্ষার বৃষ্টিভেজা মরসুমে TRVEENTURE আয়োজন করছে 'সুন্দরবন ইলিশ উৎসব ২০২১'


"বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ চিংড়ি কচি লাউ, বাংলা পারশে মাছকে ধুয়ে জিরের বাটায় দাও। বাংলা ভুলি কি করে বাংলা বুকের ভিতরে।" কথাই আছে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। মধ্যাহ্ন ভোজনে বাঙালির পেটপুজোর পাতে একটু মাছ না পড়লে কী আর চলে। আর এমনিতেই বর্ষা ঢুকে গেছে বাংলাতে। এবার বাঙালির পাতে ইলিশ তো চাই চাই-ই। ইলিশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির এক প্রাচীন প্রেম। এই বর্ষায় ইলিশ ভাজা, সর্ষে ইলিশ, ইলিশের মালাইকারি, ইলিশ ভাপা খাওয়ার মজাই আলাদা। ইলিশের জনপ্রিয়তা কেবল বাঙালির খাবার পাতেই নয়, সাহিত্য ও কূটনীতিতেও উঠে এসেছে বারবার। 


বর্ষার বৃষ্টিভেজা মরসুমে বাঙালির আনন্দ দ্বিগুণ করতে লাস্যময়ী সুন্দরবনের বুকে TRAVEENTURE আয়োজন করছে 'সুন্দরবন ইলিশ উৎসব ২০২১'। সপ্তম বছর অতিক্রম করে এবার সুন্দরবনে তাদের ইলিশ উৎসব অষ্টম বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। খাদ্য রসিক পেটুক ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কথা মাথায় রেখেই আয়োজিত হতে চলেছে 'সুন্দরবন ইলিশ উৎসব ২০২১'।

থাকা-খাওয়া, ভ্রমণ, হৈ-হুল্লোড়, রি-ইউনিয়ন ও অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপের সুবর্ণ সুযোগ হলো এই উৎসব। এখানে আপনি একাকীও আসতে পারেন আবার সপরিবারেও আসতে পারেন। তবে সপরিবারে এলে আপনার মজার আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। আগামী ২৩ শে জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে 'সুন্দরবন ইলিশ উৎসব ২০২১', চলবে ৩ রা অক্টোবর পর্যন্ত। দুই রাত্রি তিন দিন এই উৎসবে থাকা-খাওয়া ও বেড়ানোর সু-বন্দোবস্ত থাকছে।  

কোন কোন তারিখ চলবে এই উৎসব? ২৩ শে জুলাই থেকে ২৫ শে জুলাই, ৩০ শে জুলাই থেকে ১ লা আগস্ট, ৬ ই আগস্ট থেকে ৮ ই আগস্ট, ১৩ ই আগস্ট থেকে ১৫ ই আগস্ট, ১৯ শে আগস্ট থেকে ২১ শে আগস্ট, ২০ শে আগস্ট থেকে ২২ শে আগস্ট, ২৭ শে আগস্ট থেকে ২৯ শে আগস্ট, ২৮ শে আগস্ট থেকে ৩০ শে আগস্ট, ২৯ শে আগস্ট থেকে ৩১ শে আগস্ট, ৩ রা সেপ্টেম্বর থেকে ৫ ই সেপ্টেম্বর, ১০ ই সেপ্টেম্বর থেকে ১২ ই সেপ্টেম্বর, ১৭ ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২৪ শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ শে সেপ্টেম্বর এবং ১ লা অক্টোবর থেকে ৩ রা অক্টোবর পর্যন্ত। 

উৎসবে ২ রাত্রি ও তিনদিনের সুন্দরবন ভ্রমণের প্রথম দিন সোনাখালী, গোসাবা। এখানে সারাদিন ধরে লঞ্চে থাকবে ঘোরার ব্যবস্থা আর লঞ্চে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলাতো রাত্রিবাসের ব্যবস্থা থাকবে। লঞ্চে করে এখানকার জঙ্গল ও পাখিরালয় দেখানো হবে। দ্বিতীয় দিন সজনেখালি ও সুধন্যখালি, পিরখালী, বনবিবি, ভারানী চোরা, গাজীখালি, সুন্দরখালি, দো বাঁকি। এখানেও থাকছে হোটেলে ও লঞ্চে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা। তৃতীয় দিন পঞ্চমুখানি, বঙ্গোপসাগরের মোহনা ঝড়খালি ও পার্শে মারি। 

খাবারের মেনুতে কী কী থাকছে? প্রথম দিন টিফিনে থাকছে ভেজ পাটিস, কেক, ডিম সেদ্ধ, কলা রসগোল্লা ও চা। সকাল ১১ টার সময় পেয়াঁজ পকোড়া, ভেজ পকোড়া ও চা। দুপুরে বাসুমতি চালের ভাত, ইলিশ, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, পুঁইশাক, ইলিশমাথা ভাপা, ইলিশ টক, ইলিশ পাঁপড় ও হজমলা। বিকেল ৩ টার সময় নানারকম ফল। সন্ধ্যা ৬ টার সময় চিকেন পকোড়া ও কফি। রাত্রি ৯ টার সময় পোলাও, মটন কষা, স্যালাড, চাটনি ও পাঁপড়। দ্বিতীয় দিন সকাল ৬ টার সময় চা বিস্কুট, সকাল ৯ টার সময় রাধাবল্লবী, ছোলার ডাল, ছানার সন্দেশ, সকাল ১১ টার সময় অমুদিমাছ বেসন দিয়ে ভাজা ও চা। দুপুরে বাসুমতি চালের ভাত, ঘি, আলুভাজা, ডাল, কচু শাক, ইলিশের মাথা দিয়ে বাগদা, চিংড়ি মালাইকারি, বেগুন, ইলিশ চাটনি, পাঁপড় ও হজমলা। বিকেল ৩ টার সময় ফল। সন্ধ্যা ৬ টার সময় ভেজিটেবল চপ (২ পিস), স্যালাড-সস ও চা। রাত্রি ৯ টার সময় খিচুড়ি, আলু কষা, ডিমের অমলেট, ইলিশ মাছ ভাজা, চাটনি ও পাঁপড়। তৃতীয় দিন সকাল ৬ টার সময় চা বিস্কুট। সকাল ৯ টার সময় আলু পরোটা, আচার রাইতা, ডিম সিদ্ধ ও চা। সকাল ১১ টার সময় চিংড়ি পাকোড়া ও চা। দুপুরে ইলিশ বিরিয়ানি, স্যালাড ও হজমলা এবং বিকেল ৩ টার সময় ডাব (১টি)।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এই উৎসবের অগ্রীম বুকিং। 'সুন্দরবন ইলিশ উৎসব ২০২১' এর নানান সহযোগিতা করছে শিল্পী বিতান। সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের খুব কাছাকাছি-ই থাকছে ভ্রমণের ব্যবস্থা। ভাগ্যের জোর থাকলে হয়তো আপনার চোখেই দেখা মিলে যাবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। থাকা-খাওয়া, ভ্রমণ ছাড়াও বাউল, আদিবাসী নৃত্য ও বন্য পরিবেশ উপভোগ করারও সু-ব্যবস্থা থাকছে। তাহলে আর বিলম্ব কেন? আজই পরিকল্পনা করে নিন সুন্দরবন ইলিশ উৎসবে যাওয়ার। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments