Header Ads

'দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ চাই' দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব জেলার ছাত্রছাত্রীরা


'দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ চাই' এই দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব জেলার ছাত্রছাত্রীরা। কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে ৬ টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় দক্ষিণ দিনাজপুরের নাম না থাকায় হতাশ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসীরা। এই জেলাতে এখনও পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোনো মেডিক্যাল কলেজ। যার জন্য বহুমুখী সমস্যায় পড়তে হয় এই জেলার মানুষদের। 


দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীরা মিলে 'দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ চাই' নামে একটি আন্দোলন শুরু করেছে। জেলার মানুষও ইন্ধন দিচ্ছে এই আন্দোলনকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে 'দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ চাই' বলে একটা গ্রুপও তৈরি হয়েছে। জেলার মানুষও দারুণভাবে ভরসা সাড়া দিচ্ছে এই গ্রুপটিতে৷ মাত্র তিনদিনেই মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হয়েছেন গ্রুপটিতে।     

১৯৯২ সালে বৃহৎ পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। জেলা বিভক্ত হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষদের অবস্থার এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পে বহুগুণ পিছিয়ে আছে এই জেলা। একবছর আগে এই জেলাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা দেয় রাজ্য সরকার। যদিও মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার কথা কেউ ভাবেন নি। এই জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ অনুন্নত। বড়ো হাসপাতাল বলতে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু কেউ একটু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে তাকে শিলিগুড়ি, মালদহ, রায়গঞ্জ কিংবা কলকাতায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কোনো প্রকার জটিল অপারেশনও হয়না হাসপাতালগুলোতে। যার ফলে জনসাধারণকে নার্সিংহোমের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয়। এতে জনসাধারণকে অতিরিক্ত টাকাও খরচ করতে হয়। 

শোনা যাচ্ছে, এখন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গ্ৰামের মানুষের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়ার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যাবস্থার অবনতি এর অন্যতম কারণ। দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রধানত দুইটি হাসপাতাল কিন্তু কোন জটিল অপারেশন বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অন্য জেলায় যেতে হয়। এমনকি জেলায় কোনো MRI মেশিন নেই। করোনা আসার পর প্রায় ২ বছর হতে চললো কিন্তু এখনও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনো একটিও RTPCR ল্যাব তৈরি হয়নি। ফলে জেলার হাসপাতালের প্রতি মানুষের অনীহা বেড়েছে।

'দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ চাই' ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন রাইহান সিদ্দিক বলেন, "WHO বলছে ডাক্তার এবং রোগীর Ideal Ratio ১ : ১০০০ হওয়া দরকার, সেখানে আমাদের জেলার ডাক্তার এবং রোগীর Ratio ১ : ১৭৮৫৮। জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলে ডাক্তারের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনই জুনিয়র ডাক্তারও থাকবে, যার কারণে সাধারণ মানুষও এর ফল ভোগ করতে পারবেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও বহুগুণ হ্রাস পাবে।" 

এই গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে তারা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে গণ ইমেইল পাঠাবে৷ তারপর পরবর্তীকালে দরকার পড়লে তারা বৃহত্তর আন্দোলনেও নামবে৷ 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments