টোকিও অলিম্পিকে যাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের মেয়ে প্রণতি নায়েক
সামনেই টোকিও অলিম্পিক। ২০২০ তেই যার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে টোকিও অলিম্পিকের। আগামী ২১ শে জুলাই থেকে শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক। যা শেষ হবে ৮ ই আগস্ট। কোনো বিদেশি দর্শক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে টোকিও অলিম্পিক। বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিদেশি দর্শক ছাড়াই।
টোকিও অলিম্পিক ২০২১ এ এবার জায়গা করে নিলেন বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। যিনি একজন বিখ্যাত জিমন্যাস্ট। মহাদেশীয় কোটার মাধ্যমে টোকিও অলিম্পিকের টিকিট পাকা করলেন জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক। এশিয়া কোটার বিচারে শ্রীলঙ্কার এলপিতিয়া বাদালগের পিছনে রয়েছেন তিনি।
জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মে লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করছেন। শূন্য থেকে শুরু করে তার অলিম্পিকে উড়ান শক্তি দেবে যুবসমাজকে। ঝাড়গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে প্রণতি নায়েক। তাঁর বাবা সুমন্ত নায়েক একজন বাস ড্রাইভার। বেশ কষ্ট করেই চলে তাঁদের সংসার। ছোটোবেলা থেকেই দারিদ্র্য তাঁর নিত্যসঙ্গী।
২০১৯ সালে এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভল্ট ডিসিপ্লিনে ব্রোঞ্জ জিতে নেন তিনি। চলতি বছরের ২৯ শে মে চিনের হ্যাংঝৌতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সিনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের। কিন্তু কোভিডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। যার কারণে তিনি কন্টিনেন্টাল কোটা থেকে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন "২০১৯-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা মান অর্জন করতে না পারায় প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলাম। অতিমারির কারণে একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ায় কোনোদিন ভাবিনি অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। এখন এশিয়া বা বিশ্ব সংস্থার তরফে সরকারি ভাবে চিঠি পাওয়ার অপেক্ষা করছি।"
প্রণতি নায়েক অলিম্পিকের প্রশিক্ষণের জন্য এখন কলকাতায় রয়েছেন। তাঁর এই মুহূর্তে লক্ষ্য অলিম্পিকে গিয়ে নিজের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। বাঙালি হিসেবে আমরা চাই তিনি যেন স্বর্ণপদক অর্জন করেন এই অলিম্পিকে৷
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment