পাচার হতে চলা শতাধিক টিয়া পাখি উদ্ধার করে মুক্ত করলো জয়নগর পুলিশ
"বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে" -- এই কথাটির যথেষ্ট মাহাত্ম্য রয়েছে। যেমন বাঘ কখনো লোকালয়ে থাকতে পারবে না কারণ সে জঙ্গলের প্রাণী। বন্য পশুপাখিদের কাছে অরণ্যই শ্রেষ্ঠ ঠিকানা। অরণ্যে পশু ও পাখিরা স্বাধীন ভাবে বিচরণ করতে পারে। সেখানে তার কাছে পরিমিত খাদ্য থাকে। সেখানে তাদের মাথা গোঁজার মতো একটা ঠাঁই থাকে। অতএব বনে যারা সুন্দর তাদের জন্য বনই আদর্শ জায়গা।
এ পৃথিবী কেবল মানুষের একার নয়। যতটা এই পৃথিবী আমাদের ঠিক ততটাই অন্যান্য প্রাণীদেরও। তাই অরণ্যকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। অরণ্য ধ্বংস করে পশুপাখিদের ঠাঁই কেড়ে নেওয়া প্রকৃতির কাছে এক অভিশাপ। তাই বনের পশুপাখিদের তাদের মতো জঙ্গলে থাকতে দেওয়া উচিৎ।
আমরা অযথা পাখিদের খাঁচাতে বন্দী করে রাখতে ভালোবাসি, যেটা সম্পূর্ণ অনুচিৎ। আমরা যে জায়গাগুলো থেকে পোষা পাখিদের কিনে নিয়ে আসি সেখানে সেই পোষা পাখিদের পাচার করে নিয়ে আসা হয়৷ গত বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে পুলিশ কর্তৃপক্ষ সন্ধান পেয়েছিল এমনই একটি পাখি পাচারচক্রের। তাদের তদন্তে উদ্ধার হলো খাঁচাভর্তি শতাধিক টিয়া পাখি।
এই পাচার হতে যাওয়া খাঁচাভর্তি শতাধিক টিয়া পাখিকে উদ্ধার করে মুক্ত করে দিল জয়নগর থানার পুলিশ। জয়নগর থানা এলাকার গুদামের হাটে ঘটেছে এই ঘটনাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়নগর থানার পুলিশের স্পেশাল ফোর্স জয়নগর থানার গুদামের হাট এলাকা থেকে পাচার হওয়ার আগে শতাধিক টিয়া পাখি উদ্ধার করে। তবে পুলিশের গাড়ি দেখে পাখি বিক্রেতা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে জয়নগর থানার আই.সি অতনু সাঁতরা জয়নগর থানার ছাদ থেকে খাঁচাভর্তি টিয়া পাখিগুলোকে খোলা আকাশে মুক্ত করে দেন। ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে টিয়া পাখিগুলিকে খাঁচা থেকে খোলা আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য। খাঁচা থেকে বেরিয়ে নতুন জীবন ফিরে পেল টিয়া পাখিগুলো।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment