দেশের মধ্যে প্রথমবার, কলকাতায় চালু হচ্ছে 'ভ্যাকসিন অন হুইল'
প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অত্যধিক শক্তিশালী। প্রতিদিন এ রাজ্য সহ গোটা দেশে করোনা যেভাবে চোখ রাঙাচ্ছে তাতে চিন্তায় পড়ে যাচ্ছে জনসমাজ। একটা গোটা রাজ্যকে করোনা মুক্ত করতে হলে যেমন প্রতিটি নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে তেমনই রাজ্যে ভ্যাকসিনেশনের গতিও বৃদ্ধি করতে হবে৷ করোনা প্রতিরোধের প্রথম উপায় হলো ভ্যাকসিন প্রদান৷ এ কাজ যত দ্রুত সম্পন্ন হবে ততই মানুষের জন্য মঙ্গল হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বিশেষ করে যারা করোনার সুপার স্প্রেডার তাদের সবার আগে ভ্যাকসিন প্রদান অত্যন্ত জরুরি।
রাজ্যে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে করোনার গ্রাফ অনেকটাই নীচের দিকে নেমে আসছে। বহু মানুষের মধ্যেই সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সকলেই যেন এখন বদ্ধ পরিকর। এই মুহূর্তে যদি ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া ঠিকঠাক ভাবে চালানো হয় তাহলে সহজেই করোনামুক্ত হয়ে উঠবে আমাদের বাংলা।
বিভিন্ন বিজ্ঞান সংস্থার রিপোর্ট জানাচ্ছে আগামী বছর দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ উপচে পড়বে। যা আটকানো বিশেষ প্রয়োজন। তাই যেন তেন প্রকারে করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে কলকাতাবাসীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা নিয়ে এলো 'ভ্যাকসিন অন হুইল' নামের একটি প্রকল্প। যেখানে প্রধান ভূমিকা পালন করবে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস। আজ থেকে কলকাতায় শুরু হচ্ছে 'ভ্যাকসিন অন হুইল'। এই পরিষেবা পাবেন মূলত দোকানদার, হকার, দিনমজুর এবং ব্যবসায়ীরা। তাদের ভ্যাকসিন নেওয়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা।
পোস্তা বাজার থেকে শুরু হচ্ছে এই প্রকল্প। সময়মতো পোস্তা বাজারে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস পৌঁছে যাবে। যেখানে ১০ জন করে হকার, দোকানদার, দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরা টিকা নিতে পারবেন। টিকা নেওয়ার পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। নিয়ম মেনে সেই বাসেই আধঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে৷ কারণ কেউ টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এই পরিষেবা পেতে আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করার দরকার পড়বে না।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment