শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর হাতে গড়া দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে কানাডা
আর মাত্র চারমাস। তারপর সপরিবারে উমা মায়ের আগমন হবে বাংলাতে। করোনা আবহে দুর্গাপুজো কীভাবে হবে সেই নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে জমছে দুশ্চিন্তার ছাপ। বহু শিল্পীরা কাজের বরাত পাচ্ছেন না। এতো সমস্যার মাঝেও নজির গড়লেন নদীয়ার শান্তিপুরের মৃৎশিল্পী শুভজিৎ৷ তাঁর হাতে গড়া দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে সূদুর কানাডাতে।
মৃৎশিল্পী শুভজিৎ দে-র হাতে আঁকা পোড়া মাটির মূর্তি রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে কানাডা যেতে চলেছে শুভজিৎ দে-র নিজের হাতে বানানো মূর্তি। কানাডার এক প্রবাসী বাঙালি প্রায় মাস দু'য়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর তৈরি একটি কালী ঠাকুরের মূর্তি দেখে আপ্লুত হন৷ তারপরই তিনি শুভজিৎ বাবুর সাথে যোগাযোগ করেন দুর্গা প্রতিমা বানানোর জন্য। তিনি কিছু নগদ টাকাও পাঠান মূর্তি তৈরির জন্য। সেই মতো কাজ শুরু করেন তিনি৷ আর মাসখানেকের মধ্যেই বানিয়ে ফেলেন দুই ফুটের দুর্গাপ্রতিমা। তবে এখনও বাকি প্রতিমা সজ্জার কিছু কাজ। আর তারপরেই কাঠের বাক্সবন্দি হয়ে ভিন দেশে পাড়ি দেবে তাঁর তৈরি প্রতিমা।
এত দূরে মাটির প্রতিমা নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই শুভজিৎ দে একটু বেশি খরচ হলেও ইপক্সি কম্পাউন্ড নামক এক প্রকার উপাদান দিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছেন গত এক মাস ধরে। অন্যান্য উপকরণে মা দুর্গাকে সুসজ্জিত করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকে।
যদিও এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মূর্তি তৈরির বরাত পেয়েছিলেন তিনি। বিদেশ থেকেও মূর্তি তৈরির কিছু বরাত পেয়েছিলেন৷ তবে লকডাউন ও করোনা সর্বনেশে হয়ে ধরা দিলো তার জীবনে৷ মূর্তির বরাত আসা একেবারেই কমে যেতে থাকে। যার ফলে সংসারে টান পড়তে থাকে তাদের। এমতাবস্থায় দুর্গা মূর্তির বরাত পাওয়ার জন্য কিছুটা হলেও আর্থিক সমস্যা মিটতে পারে তাদের।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment