দুঃসময়ে শিল্পকে মর্যাদা জানালো ছবিওয়ালা আয়োজিত অনলাইন চিত্র প্রদর্শনী 'স্বপ্ন'
ছবিওয়ালা। বাংলার শিল্পীমহলে জনপ্রিয় একটি নাম। যারা থেমে যেতে শেখেনি। স্বশিক্ষিত এই শিল্পীদের গ্যালারি এক্সিবিশন মন কাড়লো দর্শকদের। এরপরই সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কথা ভেবে, এরা গ্যালারির চার দেওয়াল থেকে প্রদর্শনীকে নিয়ে এলেন রাস্তায়। গ্রাম-শহর-মফস্বলে চলতে লাগলো স্ট্রিট এক্সিবিশন, যা বিপুল জনপ্রিয়তার সাথে জায়গা করে নিলো প্রথম সারির দৈনিকগুলির শিরোনামে। বাধ সাধলো লকডাউন। ঘরে বসেই ছবিওয়ালারা আয়োজন করলেন একমাসব্যাপী দৈনিক প্রদর্শনী যেখানে প্রায় দুশো জন শিল্পীর কাজ প্রদর্শিত হয়। শারদোৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত "দেবী" শীর্ষক প্রদর্শনীটিও বিশেষভাবে সমাদৃত হয় শিল্পীমহলে। এভাবেই চলতে চলতে ছবিওয়ালা পূর্ণ করলো দুই বছর।
'ছবিওয়ালা'র এই দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হল একটি আন্তর্জাতিক মানের ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীর শিরোনাম ছিলো "স্বপ্ন"।
মোট ৩৭ জন শিল্পীর আঁকা প্রদর্শিত হলো এবারে। শুধু এপার বাংলাই নয়, ওপার বাংলা সহ সুদুর ইংল্যান্ড, জার্মানি, সৌদি আরব থেকেও শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রদর্শনীতে ছবির মাধ্যম হিসেবে ট্রাডিশনাল তেলরং, জলরং, কালি, এক্রেলিকের পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক ডিজিটাল মাধ্যমে আঁকা বেশ কিছু ছবি। শিল্পী তৌসিফ হক, মৃন্ময় দাস, কাউসার হোসেন প্রমুখরা বিমূর্ত ধারায় এঁকেছেন তাদের স্বপ্নকে। শিল্পী সৌরভ মিত্র, রাহুল দাশগুপ্তদের ছবিতে রয়েছে আধা-বাস্তবতার মোহময় হাতছানি। আবার গৌতম দাস, শুভ্রজ্যোতি ভট্টাচার্য্যরা চিরায়ত বাস্তবানুসারী ধারাতে ফুটিয়ে তুলেছেন তাদের চাওয়া-পাওয়াকে।
ছবিওয়ালা'র কর্ণধার সৌরভ মিত্র জানিয়েছেন, "লকডাউনের ফলে গ্যালারি বন্ধ থাকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের বেশি সময় কাটানো, উভয় বিষয়কে মাথায় রেখে, সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিলাম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরছি গ্যালারিতে। একইসঙ্গে চলবে স্ট্রিট এক্সিবিশনও।" প্রদর্শনীর বিষয় নিয়ে অপর কর্ণধার বিপ্লব ধর জানালেন, "এই দুঃসময়েও স্বপ্ন দেখছি আমরা। তাই-ই ভাগ করে নিতে চেয়েছি সকলের সাথে।"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment