ইলেকট্রিক স্কুটার এবং টোটো তৈরি করে রাজ্যকে পথ দেখাচ্ছে বাঙালি কোম্পানি প্লাউদিত
বাঙালি নাকি ব্যবসাবিমুখ এই কথাটি ছলে বলে কৌশলে গেঁথে দিতে সচেষ্ট হয়েছে একদল বাঙালি বিরোধী শক্তি। যদিও বাস্তব সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে। প্রতিদিন যদি বাঙালি ব্যবসায়ীদের গল্প লিখি, যা পড়ে শেষ করতে পারবেন না। হ্যাঁ কোনো গল্প নয় এটাই বাস্তব। যিনি বাংলায় বাঙালি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন লিস্ট দেখেছেন তাকে আর নতুন করে বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। আপামর বাঙালি, গ্রাম বাংলার বাঙালি সকলেই দারুণ ভাবে ব্যবসায় সফল। আজ যে বাঙালি কোম্পানির কথা বলবো এটাও একটি তার উদাহরণ। প্লাউদিত ই-রিক্সার কথা আমরা অনেকেই জানি না।
বাংলায় এই কয়েক বছরে আপনি একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন তা হলো অটো রিক্সার সংখ্যা কমছে এবং ইলেকট্রিক টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিবর্তনের সাথে যুক্ত বাঙালি কোম্পানি প্লাউদিত টেকনো ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। ২০০৭ সালে প্রিয়ম দাস, রমা দাস এবং দীপঙ্কর দাস প্রতিষ্ঠা করেন এই কোম্পানি। যেহেতু খনিজ তেল সবদিন থাকবে না সেই কথা মাথায় রেখেই এই তিন স্বনামধন্য বাঙালি ব্যবসায়ী এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক বছরের মধ্যেই এই কোম্পানি ভারতের অন্যতম ইলেকট্রিক রিক্সা সরবরাহকারী কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
তিন চাকার ইলেকট্রিক রিক্সা বা টোটো, তিন চাকার ইলেকট্রিক কারগো, হাইড্রলিক কার্গো রিক্সা, তিন চাকার ইলেকট্রিক স্কুটার এবং দুই চাকার ইলেকট্রিক সাইকেল এবং তার যন্ত্রাংশ বানিয়ে আসছে প্লাউদিত কোম্পানি। প্রায় ১৪ বছর সফলতার সাথে চলছে এই কোম্পানি। ১০০ শতাংশ যন্ত্রাংশই তৈরি করে থাকে প্লাউদিত। চার্জার, ব্যাটারি, ব্যাক গিয়ার হর্ন, ব্যাটারি ক্লাম রাবার, চাকা, ফার্স্ট এবং সেকেন্ড রো সিট ট্যাঙ্ক, ব্রেক প্যাডেল, বিয়ারিং সকেট, চার্জিং সকেট, কন্ট্রোলার, ব্রেক রড, ফ্যান, এক্সেলেটার এন্ড গ্রিপ, রিয়ার এক্সেল মোটর, রিয়ার স্প্রিং সকেট, লুকিং গ্লাস ইত্যাদি সমস্ত রকমের যন্ত্রাংশ তৈরি হয়ে থাকে প্লাউদিত কোম্পানির নিজস্ব কারখানায়।
বর্তমান ইলেকট্রিক রিক্সাগুলিতে ঝাঁকুনি তুলনায় বেশি যে কারণে প্লাউদিত আরো আধুনিক ইলেকট্রিক রিক্সাও নিয়ে আসতে চলেছে। এই যানবাহনগুলি যেমন দূষণ কমাতে সাহায্য করছে তেমনই কম খরচে যাত্রী পরিষেবা এবং মানুষের উপার্জনেও সাহায্য করছে। বাঙালি কোম্পানি প্লাউদিতের সাফল্য বাঙালিদের কাছে গর্বের। এমনিতেই বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ এবং মেশিনারি দ্রব্য তৈরিতে বাঙালি কোম্পানিগুলির জুড়ি মেলা ভার। কলকাতা লাগোয়া জেলা গুলিতে যন্ত্রাংশ তৈরির প্রায় শ’ খানেক বাঙালি কারখানা গড়ে উঠেছে যা বাঙালিদের ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করছে। প্লাউদিত হল তার মধ্যে অন্যতম।
আপামর বাঙালির উচিৎ বাঙালি ব্যবসা পারেনা এই ধরণের মিথ্যে অপপ্রচার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। সত্য এবং তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস করুন কোনো অসৎ মিডিয়ার মিথ্যে প্রচারে বিশ্বাস করবেন না। কতগুলো কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে বাংলায় তার মালিকানা কি সত্যিই বাঙালির নেই? সব কোম্পানির নাম সহ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার মালিকের নাম, ওয়েব সাইট সব পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এগুলো নিজে যাচাই না করে বিশ্বাস করা অনুচিৎ বলেই আমার বিশ্বাস।
প্রতিবেদন- অমিত দে
প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগলো কিন্তু একটা খুঁত চোখে পড়েছে। ইংরেজি শব্দ PLAUDIT এর উচ্চারণ হয় "প্লডিট"। তাই যখন "প্লাউদিত" লেখাটা দেখলাম তখন অদ্ভুত লাগলো।
ReplyDelete