Header Ads

ঋতাভরীর অঙ্গীকার কলকাতার সমস্ত শৌচালয়ে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার


গত ২৮ শে মে ছিল ম্যানস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে। এই বিশেষ দিনটিতে এক নতুন উদ্যোগের সাক্ষী হলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি অঙ্গীকার করেছেন কলকাতার সব শৌচালয়ে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন জোগান দেওয়ার। ইতিমধ্যে কলকাতার ১০০ টি শৌচালয়ে প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে তবে এই করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে, এবং তা আগামী এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। 


প্যাডম্যান শোভনের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরেই তারা এই প্রসঙ্গে আলোচনা করেন এবং তারপর এই পরিকল্পনা গ্রহণ। শোভন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করেন।

নারীদেহে পুরোপুরি সুচি নয় কিংবা রজস্বলা অবস্থায় মেয়েদের রান্না করা বা পুজো করার মতো দৈনন্দিন কাজ গুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এসব ভ্রান্ত ধারণা ভাঙ্গার কথা আগেই বলেছেন 'ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি' এর শর্বরী (ঋতাভরী)। কিন্তু তিনি জানেন সিনেমা মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেললেও তা খুব সাময়িক তাই তিনি এবার নিজেই নিলেন এই উদ্যোগ। তিনি মনে করেন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ঋতুচক্র লুকানোর বিষয় নয় বরং আরো বেশি করে আলোচ্য বিষয় হোক।

পিরিয়ড কোন আলাদা বিষয় নয়, খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে এ বিষয়ে লুকোচাপা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। অভিনেত্রী বলেছেন পুরাণে এই নিয়মগুলো হয়তো স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য করা হয়েছিল। ঋতুচক্র সম্পর্কে বিভিন্ন গোঁড়ামির কারণে অনেক মেয়ে নিজের শরীরে রোগের জন্ম দিয়েছেন তবে এখন মেয়েরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন।

ঋতাভরী বলেছেন যে ঋতুচক্র পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সচেতনতা বাড়ানো হোক। ঋতুচক্র ছাড়া যে প্রাণের সৃষ্টি হবে না পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেছেন ছোটবেলায় স্কুলে পিরিয়ড সম্পর্কে পুরুষ বন্ধুদের কাছে নানারকম মন্তব্য শুনতে হলেও এই কাজে তাকে বেশি অর্থ সহায়তা করেছেন পুরুষরাই। ঋতাভরী স্বপ্ন দেখেন একটি শহরে যেখানে পিরিয়ড নিয়ে সমস্ত রকম লুকোচুরি শেষ হয়ে যাবে। রাস্তায় বেরিয়ে কোন মেয়ে অসুবিধায় পড়লে সে যেন বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পায়। এ বিষয়ে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং দৃঢ় কণ্ঠে বলেন "কাজ যখন শুরু করেছি শেষ করেই ছাড়বো"।

প্রতিবেদন- পৌলমী হালদার


No comments