Header Ads

'শার্দূল সুন্দরী'র স্রষ্টা সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়ের জীবনাবসান


শীর্ষ বন্দোপাধ্যায় ছিলেন পেশায় একজন সাংবাদিক। একাধিক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং জার্মান রেডিওর বাংলা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস 'শার্দূল সুন্দরী'। যে উপন্যাসের বিপুল জনপ্রিয়তার পর লিখেছেন একের পর এক উপন্যাস, ছোটো গল্প ও প্রবন্ধ। তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪ টি। সম্প্রতি প্রকাশিত হয় তাঁর 'শার্দূল সুন্দরী'র ইংরেজি অনুবাদ। 


'শার্দূল সুন্দরী' উপন্যাসটি বাংলা সার্কাস জগতের অন্যতম কিংবদন্তি প্রিয়নাথ বসু, জাদুকর গণপতি চক্রবর্তী ও বাঘের খেলা দেখানো সুশীলা সুন্দরীকে নিয়ে লেখা। এই উপন্যাস তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি। 'রোববার' পত্রিকায় লেখা তাঁর 'দ্রোহকাল' ও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাঁর অন্যান্য জনপ্রিয় গ্রন্থগুলি হলো-- 'সন্ধ্যা রাতের শেফালি', 'ইথারসেনা' ও 'রমণীরতন'।

গত সোমবার এ বিশ্বকে বিদায় জানিয়ে পরলোক গমন করলেন সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দোপাধ্যায়। সোমবার গভীর রাতে গড়িয়াহাটের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, বাথরুমে সংজ্ঞা হারান তিনি। সকালে তাঁর মেয়ে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান৷ এরপর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।   

সোমবার রাত ১০ টা নাগাদ নিজের ফেসবুকে এক দুর্যোগঘন কালো আকাশের ছবি শেয়ার করে শীর্ষবাবু লিখেছিলেন "ওরে ঝড় নেমে আয়।" তাঁর সেই শেষ পোস্টের উলেখ করে অনেকেই লেখেন তাঁর মৃত্যু যেন ঝড়ের মতোই আকস্মিক ভাবে নেমে এলো বাংলার সাংস্কৃতিক আঙিনায়।   

তাঁর মৃত্যুতে আবারও সাংবাদিক তথা সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সদ্য শঙ্খ ঘোষকে হারিয়েছে সাহিত্য জগত। কবি জয় গোস্বামীও করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন। ভর্তি আছেন হাসপাতালে। একের পর এক প্রবীণ তথা গুণীজনের কখনো অসুস্থতার খবর, কখনো আবার প্রয়াণের খবর ক্রমেই শোকের ছায়া ফেলছে।  

কোভিডের আবহে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। চেনা-অচেনা কত মানুষ অকালে বিদায় নিচ্ছেন। কত পরিবার তার প্রিয়জনদের অকালে হারাচ্ছে। চতুর্দিকে যেন শুধুই কান্নার হাহাকার। করোনার মৃত্যুমিছিল কিছুতেই থাকতে চাইছে না। জানি না আর কত শত মানুষের মৃত্যুর খবর শুনতে হবে৷ চাইনা আর এ মৃত্যুমিছিল বঙ্গভূমে৷ বন্ধ হোক এ মহা মৃত্যুমিছিল। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments