ক্ষীরেরকোট এলাকার বিবেকানন্দ গ্রন্থাগার দু'বছর ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে অযত্নে
রকমারি বই পড়ার জন্য উপযুক্ত জায়গা হলো গ্রন্থাগার। যতই পিডিএফ পড়ার বাতিক লোকের মধ্যে বেড়ে চলুক না কেন, বই পড়ার স্বাদ এখনও বহু মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। যতই ডিজিটাল যুগ আসুক না কেন বইপড়া আজীবন থেকে যাবে মানুষের মধ্যে। বাংলার অজস্র শহর-গ্রামাঞ্চলে গ্রন্থাগার রয়েছে। তবে বহু জায়গাতে সংরক্ষণের অভাবে ধুঁকছে সেই গ্রন্থাগারগুলি। এই চিত্রটা আরো পরিস্কার হবে যদি আলিপুরদুয়ার জেলার একটি এলাকাতে চোখ রাখা যায়।
আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষীরেরকোট এলাকার একমাত্র গ্রন্থাগার বিবেকানন্দ গ্রন্থাগার পড়ে রয়েছে অযত্নে ও অবহেলায়। গত দুবছর ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় থেকে গেছে গ্রন্থাগারটি। কেউ জানেন না যে গ্রন্থাগারের ভেতরে প্রয়োজনীয় বইগুলো কেমন আছে। গ্রন্থাগারের আসবাবপত্রগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা তাও কেউ জানেন না। প্রায় বছর দুয়েক আগে এই গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক অবসর নেন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ গ্রন্থাগারটি বন্ধ থাকার ফলে পাঠকরা বই পড়া ও বই সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার ফলে গ্রন্থাগারের চত্বরে আগাছার জঙ্গল গজিয়ে উঠেছে। এই গ্রন্থাগার যখন খোলা ছিল তখন কাঁঠালবাড়ি, ডালিমপুর, ক্ষীরেরকোট দেওডাঙ্গা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার পাঠকেরা প্রায়ই বই পড়তে ও বই নিতে এখানে আসতেন। আগের গ্রন্থাগারিক অবসর নেওয়ার পর আর কোনো গ্রন্থাগারিক ক্ষীরেরকোটে আসেননি৷ বহু গুরুত্বপূর্ণ বই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার ভয়ও পাচ্ছেন এলাকার মানুষ।
গ্রন্থাগারে তালা ঝুলিয়ে দুবছর ধরে গ্রন্থাগার নিয়োগ না করার ব্যাপারটিকে প্রশাসনিক উদাসীনতা হিসেবে দেখছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা চান গ্রন্থাগারটি প্রশাসনের নজরে আসুক। তারা নতুন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করুক গ্রন্থাগারে। খুব শীঘ্রই চালু করা হোক এই পাঠাগারটি। গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোও উন্নত করা হোক। আরো নিত্যনতুন বই আনা হোক। গ্রন্থাগারের বই দেওয়া-নেওয়ার ভালো সিস্টেমও তৈরি করা হোক।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment