'হে নূতন' এর উদ্যোগে এই প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ফুল ও পিঠে মেলা
শীতকাল মানেই বাঙালির মেলার ঋতু। ডিসেম্বর ও জানুয়ারী এই দুটো মাস জুড়ে বাংলার নানান প্রান্তে বিভিন্ন মেলা আয়োজিত হয়৷ আগামী ২৩ শে জানুয়ারী 'হে নূতন' এর উদ্যোগে জয়নগর মজিলপুর আমন্ত্রণ কমপ্লেক্স মুক্তিমঞ্চে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে 'আহারে বাহারে ২০২১' ফুল ও পিঠে মেলা। ফুল, পিঠে, মিষ্টি ও আরও অনেক কিছুর সম্ভার থাকছে এই মেলাতে। সঙ্গে প্রকাশিত হবে 'চক্রব্যূহ পত্রিকা' ২০২১ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ। টানা দুইদিন ধরে চলবে এই মেলা। ২৩ ও ২৪ শে জানুয়ারী মেলা চলবে বিকেল তিনটে থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। মুক্তমঞ্চে মেলার দিনগুলোতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। উৎসবপ্রিয় বাঙালির নজর কাড়তে পারে এই মেলা।
'হে নূতন' হলো একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। যারা এবছর নবম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তারা জয়নগর মজিলপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে ও এগিয়ে চলেছে। বাঙালিকে সুস্থ সংস্কৃতি উপহার দেওয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য। গত নয় বছর ধরে তারা নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, ষোলোয়ানা-বাঙালীয়ানা, রূপান্তর, আবোল-তাবোল, বায়স্কোপ প্রভৃতি নামের বেশ কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছে। বাঙালির নিজস্ব শিল্প ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাহায্য ছাড়াই যে-কোনো রকম অনুষ্ঠান করে থাকে।
বছরের সব সময় ছোটবড় অনুষ্ঠান তাদের লেগেই থাকে। যেমন বসন্ত সন্ধ্যা, নজরুল-রবীন্দ্রোৎসব, সৃজনশীল আড্ডা প্রভৃতি। তাছাড়াও 'হে নূতন' গোষ্ঠী অনেক গ্রামীণ স্কুলে গিয়ে সেখানে দারিদ্র্যের ছায়াতলে সাংস্কৃতিক আলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা মহামারী ও আমফান পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার অধিক চেষ্টা করেছে। তারা বিভিন্ন গ্রুপের সাথে হাত মিলিয়ে যৌথ অনুষ্ঠানও করে থাকে। আগামী ২৩ শে জানুয়ারী এক আকর্ষণীয় মেলা নিয়ে হাজির হচ্ছে তারা।
'হে নূতন' সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি শোভন কয়াল লিটারেসি প্যারাডাইসের প্রতিনিধিকে জানান "২০২১-এর ২৩ ও ২৪শে জানুয়ারী জয়নগর মজিলপুর আমন্ত্রণ কমপ্লেক্স মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে 'আহারে-বাহারে মেলা ২০২১', একটি 'হে নূতন' উদ্যোগ। পিঠে, মিষ্টি, ফুল, পত্রিকা ও স্টল থাকছে এই মেলায়। আমাদেরকে সহযোগিতা করছে জয়নগর মজিলপুর পৌরসভা। সঙ্গে 'চক্রব্যূহ পত্রিকা' ২০২১ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হবে। মুক্তমঞ্চে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকছে দুইদিন। সকলের কাছে অনুরোধ আপনারা এই মেলায় আসুন। সবাই একসাথে মিলে মিশে একটা মেলা করি। বাংলার সুস্থ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত করবে। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন।"
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment