Header Ads

গণ্ডার ও পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে সাইকেলে আসামের পথে সাত বাঙালি


একশৃঙ্গ গন্ডার ও পরিবেশ বাঁচাতে সাইকেলে পাড়ি জমালেন সাত বাঙালি মেধাবী যুবক-যুবতী। গন্তব্য আসামের কাজিরাঙা। রানারের বেশে গত ২৮ শে ডিসেম্বর হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে তাদের। তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ১,১৯৩ কিমি পথ সাইকেলে পার হবেন। 


গন্ডার বন্ধু সুহান মল্লিক এবং আসাম সরকারের বনদপ্তরের আমন্ত্রণে "গন্ডার বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও" উপলক্ষে কলকাতা থেকে বাঁকুড়া হয়ে আসামের কাজিরাঙা ফরেস্ট পর্যন্ত এই সাইকেল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। হাওড়া থেকে যাত্রা করে তারা সোজা রওনা দেন বাঁকুড়ার সারেঙ্গাতে। এখান থেকেই গ্রিন ফোর্সের এই সাতজন পরিবেশ কর্মী কাজিরাঙার অভিমুখে এক্সপ্লোর শুরু করেছেন। 

দ্য গ্লোবাল গ্রিন ফোর্সের এই সাতজন পরিবেশ কর্মীরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়া থেকে তারক চন্দ্র পাল, হুগলি জেলার পুড়শুড়া থেকে উজ্জ্বল ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুভাস গ্রাম থেকে রামপ্রসাদ নস্কর, বাঁকুড়ার ইন্দপুরের কলামি কচুইপাল থেকে আকাশ সিংহ মহাপাত্র, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থেকে মাধবী সরকার এবং হাওড়া জেলার বাগনান থেকে গুরুপদ চক্রবর্তী।

সাইকেলে আসাম যাত্রার প্রধান উদ্দেশ্য হলো কাজিরাঙার গণ্ডার, হাতি, বুনো মোষ ইত্যাদি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা মানুষের মধ্যে প্রচার করা; জল সংরক্ষণ, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে মানুষকে অবহিত করা এবং পথে বৃক্ষবীজ রোপণ ও মানুষের মধ্যে পরিবেশ  সচেতনতার প্রচার। আসামের কাজিরাঙাতে পৌঁছানোর পর তারা দেখা করবেন সেখানকার বনাধিকারীকদের সাথে আর সেখানে তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তাও দেবেন।  

সাইকেলে আসাম যাত্রার প্রসঙ্গে দ্য গ্লোবাল গ্রীন ফোর্সের সভাপতি তারক চন্দ্র পাল লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান "কাজিরাঙাতে গণ্ডারের শিং ও চামড়ার লোভে বহু একশৃঙ্গ গণ্ডার শিকার করা হচ্ছে, আমরা কাজিরাঙাতে পৌঁছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো। পথে যেতে যেতে আমরা বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা প্রচারের জন্য বলছি যে বাবা-মায়ের নামে গাছ লাগান। বাবা-মায়েরা চলে গেলেও বাবা-মায়ের নামে গাছগুলো থেকে যাবে। এর ছায়াতলে দাঁড়ালে মনে হবে বাবা-মায়ের আশীর্বাদ মাথার ওপর সবসময় রয়েছে। ৩০ শে ডিসেম্বর সকাল আটটায় দ্য গ্লোবাল গ্রিন ফোর্স সারেঙ্গা শাখার উদ্যোগে আসাম যাত্রার শুভ সূচনা হয়। আমরা বর্তমানে ফারাক্কা পার হয়ে মালদার দিকে এগিয়ে চলেছি।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments