সিবিই সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে স্কটল্যান্ডের বাঙালি লেখিকা বাসবী ফ্রেজারকে
২০২১ সালের আজ শুভারম্ভ।বিষময় একটা বছর কাটিয়ে আমরা আজকে পা রাখলাম নতুন বছরে। ২০২১ সালটা কেমন যাবে বলা এখন থেকে মুশকিল। তবে বছরের শুরুতে কোনো একটা বড় সুখবর অবশ্যই ইঙ্গিত দেয় বছরটা কেমন যাবে। বছরের প্রথম দিনেই টেমস নদীর বাতাস বয়ে নিয়ে এলো এক আশ্বর্যকর বার্তা। ব্রিটেনের মাটিতে এক বাঙালিনী সমগ্র বাঙালি জাতির মুখ উজ্জ্বল করলেন।
ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের নববর্ষ উদযাপনের তালিকায় উঠে এলো বাঙালি লেখক ও শিক্ষাবিদ বাসবী ফ্রেজারের নাম। কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন বাসবী ভট্টাচার্য। বর্তমানে তিনি স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরা নগরের বাসিন্দা। তিনি নেপিয়ার ইউনিভার্সিটির একজন স্বনামধন্য অধ্যাপিকাও। কর্মসূত্রে স্কটল্যান্ডে থাকার সময়ই অধ্যাপক নীল ফ্রেজারের সাথে তাঁর বিবাহ সম্পন্ন হয়। তিনি একজন স্কটিশকে বিয়ে করলেও বাংলা ভাষাকে একবারের জন্যও ভুলে যাননি৷ তিনি বাংলাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বহু বইও লিখেছেন।
বাসবী ফ্রেজার ইংরেজি সাহিত্যের এমেরিটা অধ্যাপিকা ও স্কটিশ সেন্টার অব টেগোর স্টাডিজের কর্ণধার৷ তিনি ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল লিটেরারি ফান্ড ফেলো, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের সাম্মানিক ফেলো ও স্কটিশ পোয়েট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যা। এর পাশাপাশি তিনি ই-পত্রিকা 'গীতাঞ্জলি অ্যান্ড বিয়ন্ডে'র সম্পাদিকা।
স্কটল্যান্ড ও বাংলাকে নিয়ে তিনি একগুচ্ছ বই লিখেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হলো 'ফ্রম দ্য গঙ্গা টু দ্য টে', 'স্কটস বিনিথ দ্য ব্যানিয়ান ট্রি : স্টোরিজ ফ্রম বেঙ্গল' প্রভৃতি। এছাড়াও সম্পাদনা করেছেন অসংখ্য বই৷ ব্রিটিশ অ্যাকাডেমির গবেষণা অনুদানে তিনি সম্পাদনা করেছেন 'বেঙ্গল পার্টিশন স্টোরিজ : অ্যান আনক্লোজড চ্যাপ্টার।'
রানী এলিজাবেথের নববর্ষ উদযাপনের সম্মাননা অনুষ্ঠানে বাসবী ফ্রেজারকে কম্প্যানিয়ন অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে স্কটল্যান্ডের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সংহতিতে তাঁর অপরিসীম অবদানের জন্য।
তিনি ইতিমধ্যেই অর্জন করে ফেলেছেন বহু সম্মান। ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের এআইও পুরস্কার, ২০১০ সালে উম্যান এমপাওয়ার্ড : আর্টস অ্যান্ড কালচার অ্যাওয়ার্ড, ২০১৫ সালে আউটস্ট্যান্ডিং উম্যান অফ স্কটল্যান্ড অ্যাওয়ার্ড, ২০১৭ সালে ওয়ার্ড মশালা ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ও ২০১৯ সালে কবি সালাম পুরস্কার প্রভৃতি।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment