Header Ads

মার্কিনে ছবিতে শিকড়ের গল্প, বাংলা ভাষার অক্ষরে সেজেছে দেওয়াল


নোবেলের মঞ্চে বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় বাংলাতে বক্তব্য রাখলেন। যা দেখে মুগ্ধ হলো গোটা বিশ্বের সকল বাঙালি। তার থেকেও বড় কথা আমেরিকার গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে নানান ভাষার সাথে যুক্ত হয়েছিল বাংলা ভাষা।  অস্ট্রিলিয়ার ভিক্টেরিয়া শহরে অর্ণব ঘোষ রায় নামে এক বাঙালির হাত ধরে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে বাংলা ভাষায় পরিষেবার কাজ। এগুলো দেখলেই বোঝা যায় বাংলা ভাষার গুরুত্ব বাড়ছে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে। দুই বাংলার বহু মানুষ বর্তমানে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বসবাস করেন৷ এই দেশগুলোতে বাঙালিরা বাংলা ভাষার প্রসারের জন্য কাজ করে চলেছেন।


প্রবাসী বাঙালিদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে বাংলা ভাষা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে সম্মান করে তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বিদেশ-বিভুঁইয়ে। বাংলা ভাষার জন্য লক্ষ লক্ষ বাঙালি প্রাণ দিয়েছেন। বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির আত্মবলিদান যুগের পর যুগ নতুন প্রজন্মের বাঙালিদের স্মরণ করাতে হবে। বাংলা ভাষার উন্নতির জন্য দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি বাঙালিকে মনে রাখতে হবে দুই বাংলার বাংলা ভাষা একটাই। বাংলা ভাষা কখনো দুটো হতে পারে না। 

এ দেশের মাটিতে যখন  চক্রান্ত চলছে যে বাংলাদেশের বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাকে পৃথক করা হোক সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়াল জুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলা লেখা। আমেরিকায় থাকা অপার বাংলার মানুষরা তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলা ভাষার প্রতি আবেগ বাড়াতে ছবিতে শিকড়ের গল্প শোনাতে চান। তাই তাঁরা নিয়েছেন এক অভিনব উদ্যোগ। যে উদ্যোগের নাম "বাংলাদেশ - কামিং টু আমেরিকা"। এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন আমেরিকানরাও। এপার বাংলার বাঙালিরাও সাধুবাদ জানাচ্ছেন এ উদ্যোগকে। 

মার্কিনের মিশিগান রাজ্যের বাংলা টাউন নামে খ্যাত ডেট্রয়েট ও হামট্রাক শহরের সীমান্ত ব্রীজ অ্যাকাডেমি ওয়েস্ট স্কুলের দেওয়াল বাংলা অক্ষর এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ছবিতে সেজে উঠেছে। প্রায় ৪৫ ফুট দেওয়াল জুড়ে বাংলার বাঘ, শাঁপলা ফুল, নকশী কাঁথার বুননের শাল, ৫২ সালের ভাষা শহীদদের বীরগাঁথা, শহীদ মিনার আর সবকিছু ছাপিয়ে আকাশের গায়ে দুঃখিনী বর্ণমালা বাংলা ভাষার অক্ষর। বিশ্ববিখ্যাত ওয়াল পেইন্টার ডেসিক ফার্নান্ডেজ ও ভিক্টোর কুইনোনেজ এঁকেছেন দেওয়ালের সমস্ত নজরকাড়া চিত্রগুলো।

ছবিতে-অক্ষরে ভরা দেওয়ালগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে আপনি দুই বাংলারই কোনো একটি শহরে হাঁটছেন। এক মুহূর্তের জন্যেও মনে হবে না যে ওটা আমেরিকার কোনো একটি শহর। এমন ঘটনা আমেরিকা বলেই সম্ভব হয়েছে। কারণ আমেরিকানরা সকলের মাতৃভাষার গুরুত্ব বোঝেন।

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments