Header Ads

বইকে বাঁচার হাতিয়ার করে আয়োজিত হতে চলেছে 'লিলুয়া বইমেলা ২০২০'


শীতকাল মানেই বইমেলার মরসুম। বাংলার বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছর শীতকালে চলতে থাকে বইমেলা। যেখানে বইয়ের টানে দূরদুরান্ত থেকে বইপ্রেমী মানুষ ছুটে আসেন। পাঠকদের কাছে বইমেলার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। বইমেলা বইয়ের জগতকে সহজে বিকশিত করে তোলে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে ঢুকে পড়েছে বইমেলাও। নিত্যনতুন লেখকদের বই, যে-কোনো লিটল ম্যাগাজিন ও রকমারি পত্রিকা সবই পাওয়া যায় বইমেলাতে। 


বাঙালিরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বইমেলার মরসুমের জন্য। অবশেষে সমাপ্তি ঘটতে চলেছে সেই অপেক্ষার। চলে এলো বইমেলার মরসুম। হাওড়া জেলার লিলুয়াতে গত বছরের মতো এ বছরও আয়োজিত হতে চলেছে 'লিলুয়া বইমেলা'। আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে 'লিলুয়া বইমেলা ২০২০'। মেলা চলবে ২০ শে ডিসেম্বর অবধি। সমস্তরকম সরকারী বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হবে এ বছরের বইমেলা। 'লিলুয়া বুক ফেয়ার ফাউন্ডেশনে'র পরিচালনায় এই বইমেলা তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। 

লিলুয়ার মীর পার্ক ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে 'লিলুয়া বইমেলা ২০২০'। নতুন বইয়ের সম্ভার নিয়ে নামীদামী সব প্রকাশনা সংস্থা হাজির থাকবে মেলাতে। মেলাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তাঁরা কয়েকটি ব্যবস্থাপনা গৃহীত করেছেন। যেমন স্যানিটাইজার প্রবেশদ্বার, উন্মুক্ত মেলাপ্রাঙ্গণ, থার্মাল চেকিং, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন, বিনা মাস্কে প্রবেশ নিষেধ, ১ ঘন্টা অন্তর অন্তর প্রত্যেক স্টলকে স্যানিটাইজ করা হবে, খাবারের স্টল থেকে প্যাকেটজাত খাবার কিনতে হবে ও দাঁড়িয়ে খাওয়া যাবে না এবং বন্ধ রাখা হচ্ছে জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

তিন দিনব্যাপী লিলুয়া বইমেলার এবারের মন্ত্র 'বই হোক বাঁচার হাতিয়ার। তাদের এ বছরের থিম সত্যজিৎ ১০০, ভানু ১০০ ও রবিশঙ্কর ১০০। এছাড়াও সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত হচ্ছে বইমেলার প্রধান প্রবেশদ্বারটি। মেলা চলবে প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত। লিলুয়া বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলার লক্ষ্যে লিলুয়া বুক ফেয়ার ফাউন্ডেশন বইপ্রেমীদের কাছে আবেদন জানিয়েছে৷ মুখে মাস্ক লাগিয়ে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিটি দর্শনার্থীকে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে হবে। মেলাতে কাউকে আধঘন্টার বেশি থাকা যাবে না। অন্যজনকে মেলায় প্রবেশ করতে ও বই কিনতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে৷ 

আর মাত্র চারটে দিনের অপেক্ষা তারপর লিলুয়া বইমেলাতে উপচে পড়বে বইপোকাদের ভিড়। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments