পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক সাইকেল বানিয়ে চমক বাঁকুড়ার এক তরুণের
যত দিন যাচ্ছে এ দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া হচ্ছে। যার ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের ভাঁড়ারে টান পড়ছে। বাইকে যাতায়াত করার সামর্থ্য হ্রাস পাচ্ছে তাদের। আর গত কয়েকমাস ধরে চলা লকডাউনে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড কষ্ট সংসার চালাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের৷ তাদের মুখে আশঙ্কার ছাপ। দুর্ভাগ্যের কালো মেঘ কুরে কুরে খাচ্ছে তাদের।
এমনই এক অসময়ে এলো সুখবর। উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরনো রোহিন দাস কর্মকার বানিয়ে ফেলেছেন এক অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক সাইকেল। মাত্র এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করে প্রায় একটা দিন আরামের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যাবে। রোহিন দাস কর্মকারের বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাসের শাশপুরে। বিষ্ণুপুরে তার নিজস্ব একটি মোটরবাইকের সকার তৈরির কারখানা আছে। এই কারখানাতেই বসে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন সাইকেলটি।
করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে শারীরিক দূরত্ব বজায়ের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নানান প্রয়োজন বা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে সার্বজনীন পরিবহন ব্যবস্থাকে এড়াতে চাইছেন অনেকে। রোহিন দাস কর্মকারের নতুন আবিষ্কার স্বল্পমূল্যের এই ইলেকট্রিক সাইকেল তাদের খুব কাজে লাগবে বলেই মনে করছেন অনেকে। গত সেপ্টেম্বর থেকেই এই সাইকেলটি দেখতে আট থেকে আশি সকলেই ভিড় জমাচ্ছেন রোহিন দাস কর্মকারের বাড়িতে।
রোহিন দাস কর্মকারের মতে, "অনেকের সাধ থাকলেও শুধুমাত্র সাধ্যের অভাবে নিজের একটা বাইক বা স্কুটি কেনা হয়ে ওঠেনা। বরাবরই নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা বরাবরই মাথায় ঘোরে। এই অবস্থায় সেই রকমই কিছু ভাবতে ভাবতে এই ই-সাইকেল তৈরির ভাবনা মাথায় আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোগাড় করে রূপ পায় বর্তমান এই ই-সাইকেলের।"
মাত্র বারো থেকে তেরো হাজার টাকাতেই তৈরি করা যাবে এই ইলেকট্রিক সাইকেলটি। রোহিন দাস কর্মকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবী রাখে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে তার এই ইলেকট্রিক সাইকেল। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসন সাহায্যের হাত না বাড়ালে কাজটা সম্ভব নয়।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment