জানা গেল এভারেস্টের নতুন উচ্চতা, যার নেপথ্যে ছিল এক বাঙালি
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। যার উচ্চতা ছিল ৮,৮৪৮ মিটার। নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তাতে অনেকেই ধারণা জন্মেছিল যে ভূমিকম্পের পর নাকি মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা কমে গেছে। এটা নিয়ে বহু বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই বিতর্ককে থামাতে চীন ও নেপাল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে নতুন করে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করা হবে। সেই মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে শুরু হয় এভারেস্টের উচ্চতা মাপার কাজ৷ গত ৮ ই ডিসেম্বর, মঙ্গলবার জানা গেল মাউন্ট এভারেস্টের নতুন উচ্চতা। বর্তমানে এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার অর্থাৎ এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৮৬ মিটার।
১৮৫৬ সালে বাঙালি বিজ্ঞানী রাধানাথ শিকদার এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন। এর ১৬৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের জন্য পরিমাপ করা হলো এভারেস্টের। এবারও এভারেস্ট পরিমাপের জন্য দায়িত্ব এসে পড়েছিল সেই বাঙালি বিজ্ঞানীর ওপরই। বিজ্ঞানী পরমেশ বন্দোপাধ্যায় এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করার প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ও তথ্য বিশ্লেষণের কাজে নেপাল ও চিন সরকারকে সহায়তা করেছেন।
আজ থেকে এতো বছর আগে রাধানাথ শিকদার যে কাজ করেছিলেন সেই কাজের প্রস্তাব আরো কখনো কোনো বাঙালির ওপরই পড়বে কেউ কী জানতো। এতোবড়ো দায়িত্বলাভের পর তিনি এক রোমাঞ্চ অনুভব করেন। গত দেড় বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলাফল এলো অবশেষে। রাধানাথবাবুর সময়ে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল আজকে সেই পদ্ধতি অনেকটাই আধুনিক। নেপাল সার্ভে ইন্ডিয়া রাধানাথ শিকদারের আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপের কাজ করেছে।
২০১৭ সালে চিন ও নেপাল পৃথকভাবে এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপ করার কাজ আরম্ভ করে। এভারেস্টের নানান স্থানে নেপাল সরকার জিপিএস টেকনোলজি বসিয়েছিল৷ সাথে তারা ভূ-পদার্থ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ হিসেবে ভূ-বিজ্ঞানী পরমেশ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়োগ করে। পরে অবশ্য দুই দেশ যৌথভাবে এভারেস্ট পরিমাপের কাজ শুরু করে৷ মঙ্গলবার দুই দেশের ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘোষিত হয় এভারেস্টের নতুন উচ্চতা। পরমেশ বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাঙালির নাম উচ্চারিত হলো বিশ্বসভায়।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment