Header Ads

মানবিক কলকাতা, মা ও নবজাতকের জীবন রক্ষা করলেন ওসি সৌভিক চক্রবর্তী


গত ১০ ই নভেম্বর, মঙ্গলবার এক মানবিকতার চিত্র দেখলো গোটা বাংলা। এক কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশের সৎ কর্মকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। সমাজের প্রতি যে একটা দায়বদ্ধতা আছে পুলিশের তা তিনি প্রমাণ করে দেখালেন। একজন নারী ও তার সন্তানের জীবন রক্ষার জন্য এগিয়ে এলেন তিনজলা ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি সৌভিক চক্রবর্তী। 


কলকাতার বাসন্তী হাইওয়ের ওপর চৌবাগা এলাকায় টহল দিতে গিয়ে স্থানীয়দের একটা ভিড় দেখতে পান। বহু মানুষ হইহই চিৎকার করে ভিড় করছে। তিনি এই ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সামনে এগোতেই দেখতে পান আচমকা রাস্তাতেই প্রসব প্রসূতির, গোটা রাস্তা রক্ততে ভিজে যাচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন ঐ প্রসূতি। অসহ্য যন্ত্রণায় মাটিতে কাতরাচ্ছেন তিনি।  

অসহায় এই নারীটি রাস্তাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তা দেখেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। কিন্তু সৌভিক চক্রবর্তী নিঃস্বার্থ ভাবে এগিয়ে এলেন। ট্রাফিক গার্ডের সামনে কিছুক্ষণের মধ্যেই রাস্তাতেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। 

রাস্তার মধ্যে সন্তান প্রসবের ঘটনা দেখে তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ মা ও নবজাতককে নিয়ে নিজের পেট্রোল কারে করে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দিকে রওনা হন। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাপারটা তিনি লালবাজারকে জানান৷ লালবাজারের মাধ্যমে তিনি দ্রুত গ্রিন করিডর করে মা ও নবজাতককে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন৷ এমনকি রাস্তাতে যাওয়ার সময়ই তিনি ওই মহিলার পরিবারকে খবর দেন। 

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে মহিলাটির নাম মনোয়ারা বিবি। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঘটকপুরের বাসিন্দা। তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। রক্ত পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর তিনি তার এক আত্মীয়ের সাথে বাস ধরার জন্য রাস্তার মোড়ে অপেক্ষারত ছিলেন। হঠাৎ করেই বাঁধে বিপত্তি।  প্রসব যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে পড়েন তিনি। সৌভিক চক্রবর্তী সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌঁছালে জীবন সংশয়ের আশঙ্কা ছিল মা ও নবজাতকের। 

মা ও নবজাতককে উদ্ধার করতে সৌভিক চক্রবর্তী যেন অবতার হিসেবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। মানবতার মৃত্যু যে এখনো হয়নি তারই জীবন্ত দৃষ্টান্ত এই ঘটনা। ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি সৌভিক চক্রবর্তীকে কুর্নিশ। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments