দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরণায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তৈরি করেন ঝাঁসি ব্রিগেড
স্বাধীনতার যুদ্ধে নারীদের নিয়ে প্রথম সেনাবাহিনী গড়ে তুলেন দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসু। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ এর স্বাধীনতার যুদ্ধে বীরত্বকে সম্মান জানাতে নারীবাহিনীর নাম রাখা হয় ঝাঁসি ব্রিগেড। আজাদ হিন্দ বাহিনীকে বিভিন্ন ব্রিগেডে বিভক্ত করা হয়। তার একটি বিশেষ ব্রিগেড হলো ঝাঁসি ব্রিগেড। পরাধীন ভারতের উত্তাল পটভূমিতে ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ঝাঁসি ব্রিগেড তৈরি হয়।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নারীরা ঝাঁসি ব্রিগেডে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিক ভাবে সিঙ্গাপুরে নারী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মোট ১০০০ জন নারীকে নিয়ে গঠিত হয় ঝাঁসি ব্রিগেড। লক্ষ্মী সাহগাল ছিলেন ঝাঁসি ব্রিগেডের প্রধান। তৎকালীন জাপান সরকার ঝাঁসি ব্রিগেডকে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করেছিল। এই বাহিনীর স্থায়ীত্ব ছিল ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
বীরাঙ্গনাদের নিয়ে গঠিত ঝাঁসি ব্রিগেডের সম্পর্কে সকলেই জানেন। কিন্তু একথা খুব কম লোকেই জানেন যে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরণায় ঝাঁসি ব্রিগেডের জন্ম দেন। ১৯২০ সালের ঘটনা, সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও বাসন্তী দেবীর সাক্ষাৎ ঘটে। তাদের সেই কথোপকথনটা তুলে ধরছি।
বাসন্তী দেবী- তোমার ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
চিত্তরঞ্জন দাশ- ভালোই তো, নিজের ছেলেকে জেলে না পাঠিয়ে কীভাবে পরের ছেলেকে জেলে যেতে বলি বলো তো? কাল তুমিও আন্দোলনে নামবে। তোমাকেও যেতে হবে৷
সুভাষচন্দ্র বসু- আমরা জেলের বাইরে থাকতে মা বোনেরা জেলে যাবে!!! এ হতে পারে না।
চিত্তরঞ্জন দাশ (উত্তেজিত হয়ে)- তোমরা কাজ চাও না কাজের নামে বিলাসিতা চাও? স্বাধীনতার মূল্য এ দেশের মেয়েদের ও দিতে হবে।
এই কথোপকথনেই চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরণায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু বিশ্বের প্রথম মহিলা রেজিমেন্ট ঝাঁসি ব্রিগেড তৈরি করেন৷
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment