Header Ads

নৌবাহিনীর নার্সিং সার্ভিসের প্রধান পদে নিযুক্ত হলেন বাঙালি কন্যা সোনালি ঘোষাল


বাঙালি বীরাঙ্গনারা যুগে যুগে উজ্জ্বল করেছে বাংলার মুখ। বাঙালির পুরুষ হোক বা নারী কেউই কোনোকিছুতে থেমে থাকেনা। 'শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার' জিতে নিতে চলেছেন সাত বাঙালি বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান নগরীর একশো শহরের তালিকার মধ্যে কলকাতার স্থান পাওয়া প্রভৃতি গর্ব করার মতো খবরের শিরোনাম দেখতে পাচ্ছে বাঙালিরা। কথায় আছে বাঙালির জয়ের চাকা কখনো থেমে থাকেনা। বাঙালি সর্বদা ছুটে চলে জয়ের নিশান উড়িয়ে। 

এবার বাংলার সম্মান বৃদ্ধি করলেন বঙ্গতনয়া সোনালি ঘোষাল। মিলিটারি নার্সিং সার্ভিসের প্রধান পদে নিযুক্ত হলেন এই বীরাঙ্গনা। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো তাঁর নতুন দায়িত্ব। বাঙালি কন্যা মেজর জেনারেল সোনালি ঘোষালের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। ১৯৮১ সালে তিনি মুম্বাইতে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাসপাতাল শিপ অশ্বিনীর স্কুল অফ নার্সিং এ  যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে তিনি সম্মানিত হয়েছেন একগুচ্ছ পুরস্কারে। তিনি মিলিটারি নার্সিং সার্ভিসের প্রধান হওয়ার পূর্বে তিনি ছিলেন উক্ত বিভাগের মেজর জেনারেল। 

প্রায় ৩৮ বছর ধরে মিলিটারি নার্সিং সার্ভিসে তিনি কর্মরত। তিনি একাধিক মহান কাজকর্ম করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে আর্মি হসপিটাল রিসার্চ এন্ড রেফ্যারেলের প্রিন্সিপাল মেট্রন হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে তিনি বহু দক্ষতা দেখিয়েছেন৷ তাঁর পরিচর্যায় সুস্থ হয়ে ওঠে অপারেশন ব্লু স্টার ও অপারেশন সদভাবনায় অংশগ্রহণকারী সকল আহত সৈন্যরা৷ তিনি তাঁর দক্ষতার বশে ২০১৪ সালে অর্জন করেছেন চিফ অফ দ্য আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশন কার্ড পুরস্কার। 

মেজর জেনারেল সোনালি ঘোষাল বৃহস্পতিবার নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি গোটা দেশকে বার্তা দিয়ে বলেন "মানুষের প্রতি নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা ও পরিষেবাই তাঁকে এই পোশাক তুলে দিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করেছে।" এমন একটি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে তিনি গর্বিত করলেন গোটা বাংলাকে। তিনি গোটা ভারতের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে বাঙালি সব পারে। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে আজকের সময় দেশের যে-কোনো ক্ষেত্রেই যে বাঙালি সর্বেসর্বা,  তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা

No comments