পুজোতে 'যমজ ব্যথা'দের সঙ্গে পরিচয় করালেন রণজয় ভট্টাচার্য
পুজোর মরসুমে যখন ব্যথারা ভিড় করে মনের জমানো খাতাতে। ভালোবাসা মানে তো এক মানুষের সাথে অপর মানুষের ভাগাভাগি করে বাঁচা। সেটাই যদি কেউ না পারে তাহলে তো ব্যর্থ হয় প্রেম। ব্যথাদের উৎসকে দুভাবে হাতড়াতে সঙ্গীতশিল্পী রণজয় ভট্টাচার্য নিয়ে এলেন নতুন বাংলা মৌলিক গান 'যমজ ব্যথারা।'
"মন দিয়ে শোনো তোমাকেই বললাম, এ-জীবন মানে ভাগাভাগি করে বাঁচা, তুমি ছাড়া আমি ব্যর্থ সর্বনাম।" গানের এই প্রথম চারটে লাইনেই যমজ ব্যথাদের কথা বলেছেন রণজয় ভট্টাচার্য। পুজোতে সুখী প্রেমের গান তো অনেক শুনেছেন এবার না হয় একটু পুজোতে আপনার দুঃখগুলোকে গানের সাথে ভাগ করে নিন। কারণ একটা দুঃখ থেকেই তো সুখের জন্ম হয়।
এ গানের কথাতে কিছু সম্পর্কের সাময়িক দুঃখের কথা বলা হয়েছে যে দুঃখটা আসলে সোনার পাথরবাটি। রণজয় ভট্টাচার্যের বেশিরভাগ গানে দুঃখগুলো একটু আলতো ভাবে উঠে আসে। মানে এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলেনার মতো একটা আবেগ৷ গিটারের সুতোতে কাব্যিক গীতরচনার মধ্য দিয়ে বুকের মাঝে আঁচড় কেটে যায় এই গানটি।
নদীমাতৃক একটি সবুজ গ্রামের মনোরম প্রকৃতির সজ্জাতে গানের ভিডিওর চিত্রধারণ করা হয়েছে। সেই গ্রামের পানাভর্তি নদীতে মাঝিরা ডিঙা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। রাঙামাটির পথ দূরের কোনো সীমানায় মিশে গেছে। গানের কথা, থিম ও সুর সবই মিলেমিশে একাকার রণজয় ভট্টাচার্যের গায়কীতে।
'যমজ ব্যথারা' গানটির কথা লিখেছেন তমোঘ্ন চ্যাটার্জী, যার লেখনীতে একটা ছান্দসিক ব্যাপার থাকে। এ গানটিতে ইলেকট্রিক ও অ্যাকোয়াস্টিক গিটার বাজিয়েছেন পুরব শীল আচার্য্য। গানটির মিক্স-মাস্টারিং করেছেন অনির্বাণ গাঙ্গুলী৷ গানের সুর ও গায়কীর পাশাপাশি মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট, পোগ্রামিং ও প্রোডাকশন সবটাই নিজের হাতে করেছেন রণজয় ভট্টাচার্য। গানটির সুর এতোটাই শক্তিশালী যে কিছুক্ষণের জন্য নিজের মনটা অগোছালো হয়ে যেতে বাধ্য।
Post a Comment