মণ্ডপের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র ও সত্যজিৎ রায়কে সম্মান জানালো দলমাদল সার্বজনীন দুর্গোৎসব
'১৭ তে ১০০' বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের 'দলমাদল সার্বজনীন দুর্গোৎসবে'র এ বছরের থিম। বাঁকুড়া জেলার অন্যতম সেরা পুজোর মধ্যে একটি হলো 'দলমাদল সার্বজনীন দুর্গোৎসব। চলতি বছরে তাদের পুজো পদার্পণ করলো ১৭ তম বর্ষে। বাংলা চলচ্চিত্রের একশো বছরে বাংলা চলচ্চিত্রকে সম্মান ও বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সার্ধশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ মণ্ডপসজ্জা বানানো হয়েছে।
সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন ছবির দৃশ্য ও পোস্টার এঁকে সজ্জিত হয়েছে গোটা মণ্ডপ। মার্কিনের ওপর হাতে আঁকা চিত্র দিয়ে মণ্ডপের অলঙ্করণ করা হয়েছে। মণ্ডপের পাশাপাশি অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়েছে প্রতিমাও। দুর্গার মুখ বানানো হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের 'দেবী' সিনেমার দেবী চরিত্রের মুখের আদলে। অসাধারণ এ মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে শিল্পী সৌভিক কালীর ভাবনা ও পরিকল্পনাতে। প্রতিমাটি তৈরি করেছেন চঞ্চল সূত্রধর।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও বিশ্ববাংলার বিচারে এ বছর জেলার সেরা পুজোর শিরোপা অর্জন করেছে এই পুজো৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানকার পুজো সম্পন্ন হচ্ছে। সরকার ও হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী পুজোর দশ মিটার দূরে ব্যারিকেড রাখা হয়েছে। প্রতি আধঘন্টা অন্তর অন্তর মণ্ডপটি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। মণ্ডপ থেকে শুরু করে প্রতিমা সবই একদম নজরকাড়া। এখানকার মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করলে আপনার চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করবে না।
সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের দৃশ্য কিংবা পোস্টার শিল্পীদের হাতের ছোঁয়াতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বলা চলে, সত্যজিৎ রায়ের জন্ম সার্ধশতবার্ষিকীর বছরে দাঁড়িয়ে সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন জানানোর জন্য একদম সেরা উপহার। বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের এই মণ্ডপ বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করবে। 'দলমাদল সার্বজনীন দুর্গোৎসবে'র সম্পাদক বাণীপদ মুখার্জীর তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই পুজোটি।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment