Header Ads

পুজোর থিম 'চলো পাল্টাই' এর মাধ্যমে দমদম পার্ক তরুণ সংঘের পাল্টে ফেলার আহ্বান


"যখন সময় থমকে দাঁড়ায় নিরাশার পাখি দু'হাত বাড়ায়, খুঁজে নেই মন নির্জন কোন কি আর করে তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন।" মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এ গানটাই স্মরণে আসে। কারণ কবে যে আমরা একটা ভাইরাসকে কাটিয়ে মুক্তিলাভ করবো কেউ জানিনা। দীর্ঘ কয়েক মাস বাড়িতে বসে বসে আমরা ক্লান্ত। সময় নদীর স্রোতে বয়ে চলেছে কিন্তু মানুষগুলো কেমন যেন অগোছালো হয়ে গেছে। 


সবখানে বিশ্বে এখন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে অসম লড়াই চলছে। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। কে মরবে কে বাঁচবে জানে কোনজন? এক কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি আমরা। উত্তরটা থেকে গেছে অজানাতে বন্দী। কালের নিয়মানুসারে আবারো পুজো হচ্ছে। দমদম পার্ক তরুণ সংঘের পুজোতে এবার এমন বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে। 

দমদম পার্ক তরুণ সংঘের এ বছরের থিম হলো 'চলো পাল্টাই'। স্তব্ধ জীবনকে সচল করে বাঁধার দেওয়াল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ের মাধ্যমে। মণ্ডপের দেওয়ালে দেওয়ালে মাবনজাতির রূপকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখানো হয়েছে। যে শিকল ভেঙে মানুষ বেরিয়ে নতুন দিনের আহ্বান জানাচ্ছে। শিল্পী পরিমল পালের চিন্তাভাবনাতে তৈরি হয়েছে মণ্ডপসজ্জা। মণ্ডপ ও প্রতিমা দুই'ই নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। 

মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জা সবেরই আয়োজন করা হয়েছে ঘটা করে। প্রথম পর্যায়ে সরকার থেকে পুজোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আর্থিক সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিলেও আয়োজনের বন্দোবস্ত সব পাকা হয়ে যায়। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারের সমস্ত গাইডলাইন মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়। সবশেষে হাইকোর্টের অর্ডার বদলে দিলো এখানকার পুজোর আমেজ৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ যেখানে প্রতি বছর পঞ্চমীর দিন থেকে ভিড় করে পুজো দেখে সেখানে এবছর দর্শনার্থীদের দেখা একেবারেই নেই বললেই চলে। তারা স্বপ্নেও ভাবেনি যে এবছর পুজোটা এভাবে করতে হবে৷ কেউ অঞ্জলি দিতে পারবে না, কেউ সিঁদুরখেলাতে অংশ নিতে পারবে না।  

দমদম পার্ক তরুণ সংঘের উদ্যোক্তাদের কপালে দুঃখের ছায়া নেমে এসেছে। আর দুটো মাস আগেও যদি হাইকোর্ট নির্দেশিকা পাঠাতো তাহলে অল্প বাজেটে পুজো সেরে নেওয়া যেত। এখন আর কিছু করার নেই। যাইহোক এখন আগামীর কথা ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থ ভাবে এখানকার পুজো সম্পন্ন হচ্ছে। অভিনব থিমের চমক দিয়ে জটিল সময়েও আশা জোগাচ্ছে দমদম পার্ক তরুণ সংঘ। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments