ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজোতে অভিনব চিন্তার প্রতিফলন
পুরুলিয়া জেলার অন্যতম পুজো হলো ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্বজনীন দুর্গোৎসব। বিগত কয়েক বছর ধরে থিমের পুজো বানিয়ে নজর কাড়ছে এখানকার পুজো। দেখতে দেখতে এগারো তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই পুজো। এ বছর তাদের পুজোর থিম হলো "ঝরা ফুল রাশে রাশে, মা দুর্গার আশে পাশে।"
প্রতিবছর এখানকার পুজোতে অভিনব সব ভাবনার প্রতিফলন হয়। করোনা পরিস্থিতিতেও মহা আড়ম্বরে পালিত হচ্ছে ভামুরিয়া বাথানেশ্বর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো৷ অপরূপ সাজসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। বাঁশ, ফোম, প্লাই, কাগজ ও আয়না দিয়ে নির্মিত হয়েছে মণ্ডপ। গোটা মণ্ডপ জুড়ে আছে প্রায় ছয় লক্ষ শিউলি ফুল৷ মণ্ডপে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে বৃহৎ আকৃতির শিউলি ফুলের গাছ। মণ্ডপের শরীর থেকে ঝুলছে শিউলি ফুল৷ মণ্ডপের মাঝখানে একটি বটবৃক্ষ। সেই বটবৃক্ষকে ঢেকে দিচ্ছে শিউলি ফুলের গাছ৷ এই শিউলি ফুলের মাঝেই একটি শীশমহল৷
মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাটিকেও সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে মণ্ডপের সঙ্গে। সুবিশাল এই মণ্ডপের চতুর্দিকে লাগানো কাচের আয়না যেখানে পড়ছে মায়ের প্রতিবিম্ব। শীশমহলের মাঝে বসে স্বয়ং মা দুর্গা। তার পাশে বসে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ ও কার্তিক যারা মায়ের কাছে মর্ত্যের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছে। প্রতিমা ও মণ্ডপটিকে রকমারি আলোকসজ্জাতে আরো বেশি ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। যা দেখলে চোখ ফেরানোর সময় থাকেনা। থিমমেকার রিন্টু দাসের অনবদ্য ভাবনাতে সেজেছে মণ্ডপ ও প্রতিমা।
খুঁটিপুজোর পর থেকেই এখানকার পুজোটি প্রচার করা হয়েছে 'পায়ে হেঁটে নয়, নেটে দেখুন দুর্গাপুজো' বলে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠিক সেভাবেই পুজোটি আয়োজিত হয়েছে। পুজোর দিনগুলোতে প্রতিদিন ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য জায়েন্ট স্ক্রিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও জনসচেতনতামূলক ব্যানার লক্ষ্য করা গেছে মণ্ডপ চত্বরে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment