Header Ads

বাংলা ছবি 'ভিঞ্চিদা' এবার রিমেক হতে চলেছে তামিলে


একটা সময় ছিল, সময়টা ১৯৯০ থেকে ২০১০। যে সময়টাতে বাংলা সিনেমা নিয়ে একটা কথা প্রায়শই শোনা যেত বাংলাতে নাকি সব সিনেমা কপি অথবা রিমেক হয়। তামিল ও তেলুগু ছবি থেকে নাকি নব্বই শতাংশ ছবি রিমেক করা হয়। বাংলা ছবির প্রতি এই বদনাম এখনও শোনা যায়। ১৯৯০ থেকে ২০১০ এই সময়টাতে বাংলা ছবি রিমেক একটু বেশি করতো ঠিকই কিন্তু নব্বই শতাংশ ছবি কপি কিংবা রিমেক করে এ কথাটা বলা একদম বাড়াবাড়ি। ২০১৬ থেকে ২০২০ বাংলাতে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির রসায়ন এখন অন্য কথা বলছে। বাংলাতে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ ছবিই এখন মৌলিক। বছরে এখন রিমেক ছবির সংখ্যা বাংলাতে চার থেকে পাঁচটা। 


রিমেক ছবি নিয়ে বাঙালির অযথা মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। রিমেক কম-বেশি সব ভাষার সিনেমাতেই হয়। এতোদিন যারা বাংলা ছবির প্রসঙ্গে বলতো বাংলার বেশিরভাগ ছবি দক্ষিণের ছবির রিমেক করে চলে তাদের মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি একটু করে তৈরি করে ফেলছে। আর হয়তো দশ বছরের মধ্যে বাংলা ছবি রিমেকমুক্ত হয়ে উঠবে।  

এ প্রজন্মের নিত্যনতুন পরিচালকদের হাত ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে চলেছে। এখন যে খবরটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি সেই খবরটা শুনলে গর্বে আপনার বুক ভরে যাবে। সৃজিৎ মুখার্জি পরিচালিত ব্লকবাস্টার বাংলা ছবি 'ভিঞ্চিদা' এবার রিমেক হতে চলেছে তামিল ভাষাতে।  রাম সুব্রামানিয়ামের পরিচালনায় আসতে চলেছে এই ছবি৷ ২০১৯ সালের শেষদিকে ক্রিয়েটিভ এন্টারটেইনার্স সৃজিৎ মুখার্জির কাছে থেকে এ ছবির কপিরাইট কেনে। 

বাংলার এক জনপ্রিয় সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ছবি হলো 'ভিঞ্চিদা'। যে ছবির গল্প দর্শকমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কদিন আগেই লণ্ডণের বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসব রেনবো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা গল্পের পুরস্কার পেয়েছে এই ছবি। আর এবার তামিল ভাষাতে রিমেক হতে চলেছে 'ভিঞ্চিদা'। যা বাংলা চলচ্চিত্র সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা বদলে দেবে। 

কেবল 'ভিঞ্চিদা' নয়, পরিচালক রিঙ্গো পরিচালিত ছবি 'মেসি'ও রিমেক হতে চলেছে তামিলে। তামিলনাড়ুর একটি বড়ো ব্যানার থেকে রিমেক হবে এই ছবি। কয়েকমাস আগে সৃজিৎ মুখার্জি পরিচালিত 'অটোগ্রাফ' ছবির কপিরাইট কেনা হয় মালয়ালমে। অমল নিরাদ প্রোডাকশনের ব্যানারে মালয়ালমে মুক্তি পাবে সেই ছবি। মালয়ালম অভিনেতা মোহনলাল ও মামুট্টিকে একসাথে দেখা যাবে সেই ছবিতে। এর আগে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জি পরিচালিত  'রামধনু' ছবি থেকে মালয়ালমে 'সল্ট ম্যাঙ্গো ট্রি' ও হিন্দিতে 'হিন্দি মিডিয়াম' মুক্তি পায়। শুধু এখানেই শেষ নয়, শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটি পরিচালিত 'প্রাক্তন' ছবি থেকে হিন্দিতে 'জেলিবি' নামে একটি ছবি তৈরি হয় ও 'মুক্তধারা' থেকে 'লখনউ সেন্ট্রাল' নামের একটি হিন্দি ছবি তৈরি হয়।  

২০১২ সালে সৃজিৎ মুখার্জির পরিচালনায় মুক্তি পায় 'হেমলক সোসাইটি'। যা থেকে ২০১৫ সালে মারাঠি ভাষাতে 'ওয়েলকাম জিন্দেগী' নামে একটি ছবি মুক্তি পায়। একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত অনীক দত্তের  ছবি 'ভূতের ভবিষ্যৎ' থেকে ২০১৪ সালে হিন্দিতে তৈরি হয় 'গ্যাংস অফ ঘোস্ট'। এরকম উদাহরণ বহু আছে বাংলাতে, সেগুলো আর লিখছি না। বাংলা ছবি যে এখন ভারতের শ্রেষ্ঠ ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার দিকে এগোচ্ছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments