এবার পূর্বাঞ্চলের বায়ুসেনার প্রধানের দায়িত্ব পেলেন বাঙালি এয়ার মার্শাল অমিত দেব
শুধু কলম দিয়েই বাঙালির মাপকাঠি বিচার করা যায়না। বাঙালি যুদ্ধবিদ্যা, সামরিক বিদ্যা সবেতেই পারদর্শী। পৃথিবীতে এমন কোনো বিষয় নেই যেটা বাঙালি পারেনা। ২০২০ সালের শুরুটা বাঙালির ভালোভাবে হলেও মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণে এক একটা দুঃসংবাদ আসতে শুরু করে। মার্চ থেকে মে তিনমাস কাটতে না কাটতেই আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। তারপর বাঙালির নানান মহান ব্যক্তির পরলোক গমন করার খবর আসতে থাকে। কিন্তু বছর যতো শেষের দিকে গড়াচ্ছে ততোই বাঙালির দিন কাটছে সুখবরের বন্যাতে।
বাঙালির বীরত্বের কথা আমাদের অনেক বাঙালি ভুলতে বসেছে। যারা মনে করছেন বাঙালি আগের থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে বা বাঙালি দিনের পর দিন জাহান্নামে যাচ্ছে। তাদের বাঙালি সম্পর্কে খোঁজখবরে একটু মন দিতে হবে। এ সপ্তাহের খবরের শিরোনাম জুড়ে কেবল বাঙালিদেরই রাজত্ব। আজ শুক্রবার, সকাল হতে না হতেই একগুচ্ছ সু-সংবাদে ভরে উঠছে সারা বাংলা।
পূর্বাঞ্চলের বায়ুসেনার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন এয়ার মার্শাল অমিত দেব। যিনি এর আগে দিল্লিতে বিমানবাহিনীর সদর দপ্তর বায়ু ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার অপারেশনস পদে আসীন ছিলেন। বিমান বাহিনীতে তিনি ৩৮ বছর ধরে কর্মরত আছেন৷ তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন।
এয়ার মার্শাল অমিত দেব ১৯৮২ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুক্ত হন যুদ্ধ বিমানের চালক হিসেবে। মিগ-২১ ও মিগ-২৭ এর মতো যুদ্ধ বিমানে ২৫০০ ঘন্টারও বেশি ওড়ার রেকর্ড আছে তার। এর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে আরেক বাঙালি এয়ার মার্শাল ইন্দ্রলাল রায় যিনি ৭৫০ ঘন্টা যুদ্ধবিমান চালিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন৷ বাঙালির এমন উদাহরণ প্রচুর আছে।
তিনি কেবল বায়ু ভবনের ডিরেক্টর জেনারেলই নয়, এর পাশাপাশি তিনি ছিলেন ফাইটার স্কোয়াড্রনের একজন কমান্ডিং অফিসার৷ শুধু তাই-ই নয় সীমান্তবর্তী বিমান ঘাঁটিতে বহুবার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি শুরু করে দিলেন তাঁর নব দায়িত্ব। একজন সফল ও বীর বাঙালি হিসেবে বাংলা ও বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি৷
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment