Header Ads

৩ লক্ষের বেশি দেশলাই কাঠি দিয়ে তাজমহল বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পথে এক বঙ্গতনয়া


ইরানের মাইসাম রাহমানি ২০১৩ সালে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৫১ টি দেশলাই কাঠি দিয়ে বানিয়েছিলেন ইউনেস্কোর লোগো। যার জন্য তার গিনেস বুকে নাম ওঠে৷ এবার এই রেকর্ডকে ভাঙতে চলেছেন এক বঙ্গতনয়া। তার কাছে একটাই লক্ষ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করা। সেই স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বাংলা। 


শিল্পীর নাম সহেলি পাল৷ নিত্যনতুন শিল্পকর্ম গড়ে আনন্দ পান তিনি৷ সৃষ্টির এক আলাদা নেশ ভর করে রেখেছে তাকে। শিল্পের মধ্যে কত যে আনন্দ তা তিনি ভালো করে বোঝেন। নব্য স্বপ্নের উৎস সন্ধানে গা ভাসিয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন নতুন সৃষ্টির সন্ধানে। এই সৃষ্টির নেশায় বুঁদ হয়ে  তিনি ৩ লক্ষেরও অধিক দেশলাই কাঠি দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন দেশলাই কাঠির তাজমহল। 

ভারতের অন্যতম স্থাপত্য হলো তাজমহল। যা সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের স্মৃতিবিজড়িত এক ঐতিহ্যস্থল। বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্যের মধ্যে একটি হলো তাজমহল। বিভিন্ন শিল্পী এই তাজমহলের নানারকম প্রতিমূর্তি বানিয়ে কাজ করে থাকেন। আমরা জানি যে কলকাতার ইকো পার্কে তাজমহলের আদলে আরেক তাজমহল বানানো হয়েছে। তাছাড়াও অনেকে পাথরের দোকানে পাথরের তৈরি খেলনা জাতীয় তাজমহল বানানো হয়। প্লাস্টিকেরও খেলনা জাতীয় তাজমহল অনেক খেলনা দোকানে পাওয়া যায়। সহেলি পাল ৩ লক্ষের অধিক দেশলাই কাঠিকে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই তাজমহল গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। 

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তিনি একটি ভিডিও জমা দিয়েছেন। গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য কিছু গাইডলাইন থাকে, সেই গাইডলাইন মেনেই তিনি গিনেস বুকের জন্য ভিডিও পাঠিয়েছেন৷ গিনেস বুক কর্তৃপক্ষরা দেখেও ফেলেছেন এই ভিডিও। খুব শীঘ্রই তার ফলও প্রকাশ করবে৷ তাই সহেলি পাল এখন থেকে প্রত্যহ অপেক্ষায় ব্যস্ত বড়োসড়ো বিশ্বরেকর্ডের আশায়।  

সহেলি পাল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো মাটির প্রতিমা বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন৷ তার বাবা সুবীর পাল ও ঠাকুরদা বীরেন পাল রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত নামকরা ভাস্কর৷ তার বাড়ির প্রায় সকলেই কিছু না কিছু শিল্পের সাথে যুক্ত৷ তিনি জানান "গিনেস বুকে নাম তোলার জন্যই আমি এই শিল্পকর্মটি তৈরি করেছি। আমি দুরকম রঙের দেশলাই কাঠি ব্যবহার করেছি, এতে তাজমহলের রাতের ছবি করা গিয়েছে।" তিনি আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ছিলেন। তিনি চান তার বাবা ও ঠাকুরদার শৈল্পিক খ্যাতির ধারা অব্যাহত রাখতে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা

No comments