পৌষালীর পুজোর উপহার "ফিরে আসার গান"
৮ ই আশ্বিন, ১৪২৭, শুক্রবারঃ- সময় আর শিল্প কখনো থেমে থাকে না। মানবসভ্যতা যুগে যুগে সম্মুখীন হয়েছে হাজারো জটিলতার। কখনো যুদ্ধ, কখনো মহামারি, কখনো স্বাধীনতার লড়াই কোনো সময়েই শিল্প থেমে থাকেনি৷ শিল্পকে কখনো আটকে রাখা যায়না। শিল্পের মধ্যে আছে এক অসীম ক্ষমতা। পৃথিবীতে হয়তো কোনো এক সময় মানুষও থাকবে না, কিন্তু শিল্প থেকে যাবে৷ শুধু মানুষই শিল্পের সাথে যুক্ত নয়, বিভিন্ন পশুপাখিরাও যুক্ত শিল্পের সাথে।
বাবুইপাখিরা যেভাবে বাসা বানায়, সেই বাসা অনেক বেশি শৈল্পিক। অনেক পাখি গানও গাইতে পারে সেটাও একটা শিল্প। ময়ূরের পেখম তুলে নাচও একটা শিল্প। তোতাপাখি, কাকাতুয়া ও ময়নার মানুষের মতো কথা বলতে পারাটাও একটা শিল্প। কাঠঠোকরা পাখির গাছের কান্ডকে ঠুকরে ঠুকরে খেলা করাও একটা শিল্প। বাইসনের লড়াইও একটা শিল্প। হাঁসেদের জলে চরে বেড়ানোর দৃশ্যও একটা শিল্প। এরকম অনেক অনেক দৃষ্টান্ত আছে৷ মানুষ লুপ্ত হলেও আরো নতুন প্রাণী হয়তো আসবে যারা মানুষের থেকেও ভালো শিল্পী হতে পারবে৷
যাক সেসব কথা। অনন্তকালের পৃথিবীর কথা ভাবলে তা পাগল হওয়ার উপক্রম৷ এমনিতেই সময়টা খুব একটা ভালো নয়। প্যান্ডেমিক রোগে হাহাকার চারিদিকে। মানুষের কপালে সুখও নেই৷ তবুও শিল্পের কাজ চলছে জটিল সময়ে যদি একটু মানুষকে বিনোদনের মজা দিয়ে ভয় রোধ করা যায়। বহুদিন হলো প্যান্ডেমিক কিছুটা কমেছে। তবে বিপদের সম্ভাবনা মোটেও যায়নি। তার মাঝেও মা আসছেন কালের নিয়মে।
এবার পালা আমাদের আবার নতুন শপথ নিয়ে, নতুন করে ফিরে আসার। আর এই ফিরে আসার শপথ কে কুর্নিশ জানিয়ে গায়িকা পৌষালী ব্যানার্জি গেয়েছেন তাঁর গাওয়া প্রথম একক গান, যার নাম 'ফিরে আসার গান।' এই পুজোর নতুন উপহার হলো এই গান। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা। পুজো হবে, মজা হবে, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন হবে, পরিবারে মিলন উৎসব হবে তার মাঝে নতুন গান না এলে কী হয়?
পুজোতে একক গান রিলিজের একটা ট্রেন্ড এসেছে গত চার থেকে পাঁচ বছরে। পুজোর মাহাত্ম্যকে বাড়িয়ে দিতে পুজোর গানের জুড়ি মেলা ভার। 'ফিরে আসার গানে'র সুর দিয়েছেন সৈনিক দে। পুজোর মরসুমে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর পৌষালী ব্যানার্জির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে এই গান।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment