আসন্ন পুজোতে মুক্তির পথে 'অন্যনিষাদে'র প্রথম মৌলিক গান 'কোন ঘাটে নাও বান্ধিবি'
বাংলাতে মৌলিক গান নিয়ে যত বেশি কাজ হবে তত বেশি করে উন্নতি ঘটবে বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির। মৌলিক গান নিয়ে এ প্রজন্মের বাঙালি শিল্পীরা জেগে উঠছেন নতুন করে। শ্রোতাদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে বাংলা মৌলিক গানকে কেন্দ্র করে। বাংলা মৌলিক গানের হাত ধরে বহু গানের দল ও ব্যান্ড তৈরি হচ্ছে। ইউটিউবের ওপর নির্ভর করে জন্ম হচ্ছে নতুন নতুন মিউজিক কোম্পানির।
মাঝখানে অর্থাৎ ২০০৭ এর পর থেকে বাংলা মৌলিক গান ধ্বংসের পথে এগোতে থাকে। অর্থের অভাবে বন্ধ হতে থাকে বহু ব্যান্ড। সিডি বিক্রিও কমে আসতে থাকে। অ্যালবাম রিলিজও কমতে থাকে। বড়ো বড়ো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি জোর দিতে থাকে চলচ্চিত্রের গান বানানোতে। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলেও ব্রাত্য করে দেওয়া হয় বাংলা মৌলিক গানকে।
এ প্রজন্মের শিল্পীরা ব্যর্থ স্বপ্নের যন্ত্রণা বুকে নিয়েও বাংলা মৌলিক গান নিয়ে কাজ করে যেতে থাকেন। অর্থের মোহ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের পকেট বাঁচিয়ে সেই টাকাতে গান তৈরি করে বাঁচাতে থাকেন বাংলা মৌলিক গানের জগতকে। বিভিন্ন গানের দল নিজস্ব চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন ভাবে গান তৈরি করতে শুরু করেন। এরকমই একটি গানের দল হলো 'অন্যনিষাদ'।
রাজ্য ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় অত্যন্ত সুনামের সাথে লাইভ শো করে থাকে তারা। বাংলা ফোক, আধুনিক গান ও কবিতার সংমিশ্রণে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করে এসেছে তারা। লকডাউন ও কোভিডের অত্যাচারে বন্ধ আছে অনুষ্ঠান, উৎসব ও কনসার্ট। যতদিন না গোটা দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে ততদিন পর্যন্ত কোনোকিছুই ভালোভাবে হবেনা। কিন্তু সৃষ্টির ধারা তো আর থেমে থাকতে পারে না। শিল্পীরা তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরণের ভয় অবজ্ঞা করে মানুষের বিনোদনের জন্য কাজ করে চলেছেন।
আসন্ন দুর্গাপুজোতে তিনবছরে পা রাখতে চলেছে 'অন্যনিষাদ'। তাদের তিনবছর পূর্তি উপলক্ষে শ্রোতাদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণ। আসতে চলেছে তাদের বানানো প্রথম মৌলিক গান 'কোন ঘাটে নাও বান্ধিবি'। গানটির নামের মধ্যেই কেমন যেন একটা লোকগীতির গন্ধ আছে। যদিও গানটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। গানটি মুক্তির কিছুদিন আগে হয়তো জানা যাবে গানের বিষয়বস্তু। সেটা না হয় না জানলেন। নতুন কিছু পাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা তো করতেই হবে।
বাংলা মৌলিক গানের ভান্ডারে 'কোন ঘাটে নাও বান্ধিবি' অনেকটা জায়গা দখল করবে। তাদের সমস্ত শ্রোতা ও অনুরাগী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের এই প্রয়াসের সাক্ষী হতে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment