Header Ads

পুজোর প্রাক্কালে নতুন গানের আমেজ দিতে মুক্তি পেল 'ফ্রেন্ডসে'র নব অ্যালবাম 'আলো হয়ে'


২০১৭ সালে তৈরি হওয়া একটি বাংলা ব্যান্ড হলো 'ফ্রেন্ডস'। তারা মূলত বাংলা রক মেলোডি মিউজিক নিয়ে কাজ করে থাকে। মুক্তি পেল ফ্রেন্ডস ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ''আলো হয়ে''। আটটি গানের সমাহারে মুক্তি পেয়েছে এই অ্যালবাম। এই আটটি গানই লিখেছেন, সুর দিয়েছেন ও গেয়েছেন সুব্রত আচার্য্য নিজে। এতে বেস গিটার এবং সাউন্ড ইডিটিং এর কাজ করেছেন শুভদীপ ভট্টাচার্য্য, ড্রামারের কাজ করেছেন সায়ন কর্মকার, রিদিম গিটার বাজিয়েছেন কৌশিক ব্যানার্জি এবং কি-বোর্ড বাজিয়েছেন রিন্টু দাস।


বাংলা স্বাধীন গান কখনো থেমে থাকে না। নদীর স্রোতের মতো প্রবহমান বাংলা স্বাধীন গান। মাঝখানে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল বাংলা স্বাধীন গান। কিন্তু শিল্পীদের অদম্য প্রচেষ্টা ও লড়াইয়ের ফলাফল হিসেবে বাংলা স্বাধীন গান মুখ তুলে দাঁড়িয়েছে। এ প্রজন্মের নিত্য নতুন শিল্পীরা প্রবল উৎসাহের সাথে বাংলা গানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।  
           
গড়িয়ার রথতলার মিউজিক মন্ত্রতে উদ্বোধন হলো 'আলো হয়ে' অ্যালবামের। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাকটাসের সিধু, স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী রূপক দে এবং পাভলু ব্যানার্জীর মতো ব্যক্তিরা। গানে-গানে হৈ-হুল্লোড় করে জমকালো ভাবে মুক্তি পেল এই অডিও অ্যালবাম। 'আলো হয়ে' অ্যালবামের প্রতিটি গান একরাশ মুগ্ধতা ছড়ায়। গানের সুর, আবহ, ভাষা সবই নজরকাড়া। 

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে এককালে বাংলা ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম রিলিজের হিড়িক পড়ে যেত। এখন সেভাবে অ্যালবাম রিলিজ হয়না বললেই চলে। পুজোর গান বেরোয় কিন্তু অ্যালবামের দেখা মেলে না। পুজোতে বেশিরভাগ শিল্পী বর্তমান সময়ে যখন সিঙ্গেলস নিয়ে ব্যস্ত তার মাঝেও বহুদিন পর ফিরছে বাংলা অ্যালবাম। 'ফ্রেন্ডস' ব্যান্ডের হাত ধরে পুজোর প্রাক্কালে অ্যালবাম মুক্তির মাধ্যমে বাঙালির আবেগময় পুরাতন নস্টালজিয়া ফিরে এলো।

 
'আলো হয়ে' অডিও অ্যালবামের ব্যাপারে 'ফ্রেন্ডসে'র ভোক্যালিস্ট সুব্রত আচার্য্য বলেন "আলো হয়ে অডিও  অ্যালবামে মোট আটটি গান আছে। এই গান গুলো বহুদিন আগে থেকেই লেখা ও সুর করা শুরু করেছি। যেমন "বন্ধু" গানটা ২০০৪ সালে তৈরি করা তখন আমি নবম শ্রেণীর ছাত্র। "কার জন্য" গানটা তৈরি করেছি একটু পরের দিকেই ২০১৪ সালে। আমাদের ব্যান্ডে মোট ৫ জন সদস্য। আমি মূলত গান লিখি, সুর করি, লিড গিটার বাজাই ও গান করি। শুভদীপ ভট্টাচার্য্য (বাবাই) বেস গিটার বাজায়, আমাদের গানের রেকর্ডিং ও মিক্সিং করে। রিন্টু দা (সি কে রিন্টু) কি-বোর্ড বাজায়। কৌশিক ব্যানার্জি রিদিম গিটার বাজায়। সায়ন কর্মকার ড্রামস বাজায় । এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি আমরা সকলকে। বাংলা স্বাধীন গানকে আরো প্রসারিত করা আমাদের উদ্দেশ্য। বাংলা ব্যান্ডের শ্রোতা ছিলো আছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে এটাই বিশ্বাস।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments