Header Ads

একদিনের স্বাধীনতা উদযাপনের নেপথ্যে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতার মূল্য নিয়ে দেখে ফেলুন বাংলা ছবি 'জয় হিন্দ'


স্বাধীনতা একদিনের বিনিময়ে  আসেনা। বহু বছরের রক্তঘামের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। অথচ এই স্বাধীনতা সঠিক মূল্য আজও পায়নি৷ স্বাধীনতার মূল্য কেবল খেটে খাওয়া মানুষেরাই বোঝেন। স্বাধীনতা বলতে বেশিরভাগ লোকে একদিনের স্বাধীনতা দিবসকে মেনে চলেন৷ স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করে দশটা গরীব ছেলের হাতে খাবার ও পতাকা তুলে দিলেই স্বাধীনতার দিবসের প্রতি দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না। ঠিক এমনই একটি বিষয় উঠে এলো সৌম্যজিৎ আদক পরিচালিত নতুন বাংলা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি 'জয় হিন্দ' এ। 


ছবির গল্পে আমরা দেখতে পাই একদিনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও তার ছবি ফেসবুকে দেওয়ার জন্য বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ফটোশুট করছে। সাথে লোকভোলানো কাজ দেখাতে কিছু রাস্তার ছেলেমেয়েদের হাতে খাবারের প্যাকেট, মাস্ক ও পতাকা তুলে দিচ্ছে তারা। বাইকে যেতে যেতে একটা মেয়ের পতাকা পড়ে যায় রাস্তাতে সেটা কুড়োতেও দেয়না তার এক বন্ধু। অথচ একজন গ্রাম থেকে উঠে আসা গরীব ছেলে সেই পতাকা কুড়িয়ে তুলে দেয় বসতির এক ছেলের হাতে৷ 

ছবির গল্পে নতুনত্ব তেমন কিছু নেই। তবে ছবিটি যে দেখার মতো নয় এটা বললে ভুল হবে। আসলে লকডাউনের মধ্যে অল্প বাজেটে এখন সেভাবে লার্জ স্কেলে একটু উন্নতমানের গল্প দিয়ে ছবি বানানোটা খুব কঠিন। এ ছবির গল্পটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো ছবির বিষয়। একদিনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে ছবি বানানোর যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। 

আজকে দেশের চিত্রটা অনেক আলাদা। অন্ধ রাজনীতির অত্যাচারে চাপা পড়ছে বিপ্লবীদের নাম। স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরও বিপ্লবীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পেলনা। এতোগুলো বছর পরও দেশে দুর্ভিক্ষ এতটুকুও কমলো না। ভাবলে সবারই খারাপ লাগে। দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা আজকে কলঙ্কিত। 

'জয় হিন্দ' ছবিতে অভিনয় করেছেন দেবপ্রিয় মুখার্জি, প্রান্তিকা দাস, সিঞ্জন বসু, সাহেব হালদার, প্রীতি মজুমদার, সাবর্ণ ব্যানার্জী, হরিপদ মণ্ডল, সমরপ্রীত ব্যানার্জী, স্বপন শীল ও আদিত্য রায়। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন শতদীপ সাহা। ছবির স্ক্রিন প্লে ও ডায়লগ লিখেছেন নীল নাওয়াজ। ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন সায়ন্তন দত্ত। ছবিটির নির্দেশনা করেছেন সৌম্যজিৎ আদক। ছবিটির সম্পাদনায় ছিলেন অরিজিৎ বোস। 

গত ১৫ ই আগস্ট কুইনটেলস এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। ইতিমধ্যেই বহু দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছে এই ছবি।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে

No comments