চিত্রগ্রহণে তথ্যচিত্র রূপে ফুটে উঠল স্বাধীনতার মানে
মানুষ তার নিজের চিন্তাধারা প্রকাশ করে বিভিন্ন ভাবে কবিতা, গল্প, নাটক, মুকাভিনয় বা ছবি আঁকা এরকম হাজার হাজার পন্থা আবিষ্কার করেছে মানুষ। চিত্রশিল্পের ইতিহাস ত্রিশ হাজার বছরের পুরানো। আদিম মানুষ গুহাচিত্রে ফুটিয়ে তুলত তাদের ভাবনা তারপর থেকে ধীরে ধীরে তার চিত্রশিল্পে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। মানুষ চিত্রশিল্পকে ব্যবহার করেছে তার আধ্যাত্মিকতা প্রদর্শনে, প্রতিবাদ করতে বা কোনো বিষয় সংরক্ষণে। সিনেমা থেকে নাটক এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে চিত্রশিল্পের ভূমিকা নেই।
চিত্রশিল্পকে এমনভাবেই স্বাধীনতার মানে বোঝাতে ফুটিয়ে তুলল টিম ক্রিয়েটিভ মিরর। কবিতা ও চিত্রগ্রহণ একটি অন্য রূপ দিয়েছে এই তথ্যচিত্রটিকে। এই তথ্যচিত্রটির পরিকল্পনা ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌমেন চ্যাটার্জী। এই তথ্যচিত্রে ব্যবহৃত কবিতাগুলোর উপমা আপনাকে মুগ্ধ করবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। উদাহরণস্বরূপ একটি কবিতার লাইন তুলে দিলাম-
‘ শ্রমমুঠির আড়ালে উঁকি দেয় পরিযায়ী দাগ
নদীর কুয়াশায় বসলে, সেগুলো দেখা যায় এখন
আমি কান পাতি না মেঘের তিলে
তাই শুনতে পাই না ঈশ্বরের সংলাপ।’
এই তথ্যচিত্রের কবিতা লিখেছেন মুনমুন ভট্টাচার্য এবং কবিতা আবৃত্তি করেছেন কুনাল দে। এই তথ্যচিত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের যন্ত্রণা, অনলাইন ক্লাস, চাকরি এরকম অনেক বিষয় উঠে এসেছে। এমন অসাধারণ বিষয়ের ওপর ছবি আঁকার দৃশ্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই ছবিগুলি এঁকেছেন চিত্রশিল্পী বিজয় ভট্টাচার্য। এই তথ্যচিত্র সম্পাদনা করেছেন সৌমেন চ্যাটার্জী এবং শুভম পাঁজা। ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ করেছেন শুভম পাঁজা।
এই তথ্যচিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমেন চ্যাটার্জী। এই করোনা মহামারির সময়ে এই তথ্যচিত্র একটু ভিন্নধর্মী স্বাদ আপনাকে দেবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। আমাদের কাছে স্বাধীনতার মানে সত্যি কি তা ছবির মাধ্যমে রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment