মুর্শিদাবাদের তরুণ বঙ্গসন্তান জিতলেন ফ্রান্সের 'তরুণ বিজ্ঞানী' খেতাব
বাংলাতে কোনো কালেই প্রতিভার অভাব ছিল না৷ আর বর্তমানেও প্রতিভার অভাব নেই। সাহিত্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, খেলাধূলো, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও পড়াশোনা, অভিযান কোনো কিছুতেই বাঙালি থেমে নেই। নোবেল, অস্কার, মেন অফ বুক বুকার, গোল্ডেন লায়ন, গোল্ডেন বিয়ার, ওলিম্পিয়াড পদক, ভারতরত্ন, লিজিয়ন অফ অনারের মতো এমন কিছু পুরস্কার নেই যা বাঙালি পায়নি। বাংলার মাটিতে বারংবার জন্ম নিয়েছে গর্বিত বঙ্গসন্তানেরা। সারা বিশ্বব্যাপী নাম ছড়িয়ে আছে বাঙালির। তাই তো বাংলার মাটি আজও খাঁটি। বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সবুজ শস্যও ফলে তেমনই বাংলার ঘরে বাঙালির ভবিষ্যতও ফলে।
বাঙালির সব থাকা সত্ত্বেও আজকে গোটা ভারতবর্ষে বাঙালিরা লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছে। কখনো সে নাগরিকত্ব হারাচ্ছে, কখনো তাকে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাঙালি তার নিজের মাতৃভাষার অধিকারটুকুও পাচ্ছে না এই অভাগা দেশে৷ তাই তো বাংলার কবি নবারুণ ভট্টাচার্য তাঁর কবিতায় বলেছেন 'এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না'।
যতই দেশে বাঁধা আসুক না কেন বাঙালি বিপদের লৌহকপাট ভেঙ্গে এগিয়ে চলে। সে কাউকে পরোয়া করে না। জয়ের নিশান উড়িয়ে সাফল্য আনতে বাঙালি সর্বদা প্রস্তুত থাকে। আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন বাঙালি নিয়ে এতো কথা বলছি? তার কারণটা আপনাদের এখনো পরিস্কার ভাবে জানানো হয়নি। আসল খবরটা জানলে একজন বঙ্গসন্তান হয়ে আপনি গর্ববোধ করবেন।
মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের বাঙালি ছেলে রাকিবুল ইসলাম অর্জন করলেন ফ্রান্সের 'তরুণ বিজ্ঞানী' খেতাব। স্বভাবতই বহরমপুরবাসীরা গর্বে ভরে উঠছে রাকিবুলের জন্য। গত ২রা মে থেকে ৬ই মে ফ্রান্সের লিলে শহরে ইউরোপীয় মেটেরিয়াল রিসার্চ সোসাইটির তত্ত্বাবধানে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়। রাকিবুল ইসলাম এই আলোচনাচক্রে অংশ নেন। তিনি একটি গবেষণা পত্র সেমিনারটিতে পাঠ করেন৷ এই গবেষণা পত্র ছিল এতোটাই শক্তিশালী যে এই গবেষণা পত্রের ভিত্তিতেই তাকে ফ্রান্সের তরুণ বিজ্ঞানী খেতাব দেওয়া হলো।
রাকিবুল ইসলাম উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স অনার্সে ভর্তি হন৷ তারপর রিসার্চ স্কলার হিসেবে ফ্রান্সে পাড়ি দেন। বর্তমানে তিনি লিলে শহরেই বসবাস করেন গবেষণা সূত্রে। তিনি যখন ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পড়াশুনো শুরু করেন তখন অনেকেই তার সিদ্ধান্তে অখুশি ছিলেন। অথচ ওটাই তার জীবনের মাইলফলক হবে কেউ ভাবতে পারেন নি। আজকে তিনি এতবড় একটি সম্মান অর্জন করে বাংলার সুনাম বৃদ্ধি করলেন। তিনি হয়ে উঠেছেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি ছেলেমেয়ের অনুপ্রেরণা।
প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক
Post a Comment