Header Ads

গোবিন্দভোগ চালের বিদেশ যাত্রা


বাংলার সুগন্ধী চাল হলো গোবিন্দভোগ৷ সাদা রঙের ছোটো দানাযুক্ত এই চাল ফ্রায়েড রাইস, পায়েস, ক্ষির ও বিয়িয়ানি রান্নার জন্য উপযুক্ত চাল। কথিত আছে গোবিন্দ বা কৃষ্ণের জন্য এই চাল রান্না করা হতো বলেই এই চালের নাম গোবিন্দভোগ চাল। ঐতিহ্য পরম্পরায় বাংলার পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে এই চালের চাষ হয়। রাঢ়বঙ্গে গোবিন্দভোগ চাল খাসচাল নামে অধিক পরিচিত। গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলাতে এই চালের চাষ অত্যধিক। সারা ভারতে রপ্তানি করা হয় এই চাল। দক্ষিণ ভারতে বিরিয়ানি  তৈরির জন্য এই চাল ব্যবহৃত হয়। 


২০০৮ সালে প্রথম ভৌগোলিক স্বীকৃতি পেয়েছিল গোবিন্দভোগ চাল। ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয় গোবিন্দভোগ চাল কেবল পশ্চিমবঙ্গেরই নিজস্ব চাল। ২০১৯ সালে প্যাকেজিং এ বাসুমতী রাইসকে টেক্কা দিয়ে  গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছিল গোবিন্দভোগ চাল। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানি করা হবে বিদেশে৷ এতে করে আরো বেশি সমৃদ্ধ হবে বাংলার কৃষিকাজ। ইতিমধ্যেই কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ডের নামেই এই চাল বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ, জামালপুর এবং রায়না এক ও দুই ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গোবিন্দভোগ চালের ব্যাপক হারে ফলন হয়৷ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হবে এই চাল। এই চালের বিদেশে প্রবল চাহিদা রয়েছে। রায়না দুই নম্বর ব্লকে তৈরি করা হয়েছে এই চালের মডেল। যে মডেলটির মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমানের স্বয়ম্বর গোষ্ঠীর মহিলারা চাষীদের কাছ থেকে এই চাল কিনবেন। প্যাকেটে 'কুটির বর্ধমান' লোগো দিয়ে দেশ-বিদেশের পাশাপাশি লোকাল মার্কেটেও বিক্রি হবে এই চাল। 

গোবিন্দভোগ চালের বিদেশযাত্রা বাংলার জন্য এক বৃহৎ সংবাদ। এভাবেই বাংলার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করে বাংলার নিজস্ব সম্পদকে বেশি বেশি করে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করতে হবে। বাংলার চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাবছর ধরে আমাদের খাদ্য জোগাচ্ছেন। তাদের কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ বারবার বাংলাকে নিতে হবে। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments