Header Ads

সুন্দরবন অঞ্চলের মোল্লাচক গ্রামে একশোটি সংখ্যালঘু পরিবারের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিলো দীপশিখা এনজিও ও মারিয়া ফার্নান্ডেজ


আমফানের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, কলকাতা সহ পাঁচ জেলা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই জেলার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখানে বাঁধ ভেঙ্গে পুকুর ও জমিতে নোনাজল ঢুকে পড়েছে। মাছের ভেড়ি নষ্ট হয়ে পড়েছে। বহু বাড়িঘর ধসে গেছে। অনেকের পুরো জমির ফসলও নষ্ট হয়ে গেছে। সুন্দরবনের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে এখনও বছর দুই লাগতে পারে বলে আশ্বাস স্থানীয়দের৷ 


জেলাভিত্তিক বিভিন্ন সাধারণ মানুষ, অরাজনৈতিক সংগঠন, শিল্পী সমাজ ও এনজিও গোষ্ঠীরা যতুটুকু পারছেন নিজেদের সাধ্যমতো ত্রাণ নিয়ে সুন্দরবন অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছেন। সুন্দরবনে চলতি বছরে যে পরিমাণ ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। এর আগে কোনো বছরেই এতো পরিমাণ  ত্রাণ বিলি করা হয়নি সুন্দরবনে। গত দশ বছরে আমফান, ফণী, বুলবুল,  আয়লার মতো অজস্র বিধ্বংসী ঝড়ের মুখ দেখেছে সুন্দরবন৷ এখনও পর্যন্ত ঝড়ের হাত থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না সুন্দরবন। 

সুন্দরবন অঞ্চলে ঝড় আসার প্রধান কারণ হলো অগাধ ম্যানগ্রোভ ধ্বংস৷ এই ম্যানগ্রোভই পারে ঝড়ের হাত থেকে একটা অঞ্চলকে রক্ষা করতে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে দীপশিখা নামের একটি এনজিওর অভীক সরকার, আকাশ সরকার ও মারিয়া ফার্নান্ডেজের যৌথ উদ্যোগে একটি ত্রাণশিবিরের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার নিমতা ব্লক জয়নগর দুইয়ের মোল্লাচক গ্রামের একশোটি সংখ্যালঘু পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাদ্য ও কিছু ত্রাণসামগ্রী। তাদের দেওয়া হয়েছে চাল, সোয়াবিন, সর্ষের তেল, মুড়ি, বিস্কুট, মিনারেল ওয়াটার এবং স্বাস্থ্য সামগ্রী যেমন থ্রি প্লাই মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ওয়ারেস। 


গ্রামটির মূল সড়কপথ থেকে পাঁচ মাইল দূরে জনপদটি অবস্থিত৷ গ্রামের সড়ক পথের অবস্থা খুব করুণ। সেখানে নতুন রাস্তা বানানোর কাজ চলছে। যার জন্য রাস্তাতে ভারী যানবাহন কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। কেবলমাত্র রাস্তাটিতে অটো, টোটো ও রিকশা চালানো হচ্ছে। সেখানকার স্থানীয় ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দদের সহয়তায় সফলভাবে সম্পন্ন করা হয় ত্রাণকার্য। এখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ত্রাণ গ্রহণ করার পর তাদের মুখে দেখা গেছে হাসির ছটা। 

প্রতিবেদন- লিটারেসি প্যারাডাইস ইনফরমেশন ডেস্ক

No comments