বাংলায় সম্ভাব্য সর্বপ্রথম নির্মিত শ্যাডো পাপেট্রি ফিল্ম "ছায়াছবি/ The Film making"
বাংলায় সম্ভাব্য সর্বপ্রথম
নির্মিত শ্যাডো পাপেট্রি ফিল্ম যার নাম "ছায়াছবি/ The Film making"। এই অভিনব ধারার চলচ্চিত্রটির পরিকল্পনা, নির্মাণ ও পরিচালনায় কৌশিক রায় (পাউ)।
দীর্ঘদিনের ভাবনা,গবেষণা,পরীক্ষা নিরীক্ষা
ও পরিশ্রমের ফল এই কাজটি,যার মূল
বিষয়বস্তু হল চলচ্চিত্র নির্মাণ। বিভিন্ন ধাপে
ধাপে একদম পরিকল্পনার সূচনা থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত একটি চলচ্চিত্র কি ভাবে নির্মিত
হয় ও নির্মাণের পর তার পরিণতি কি হয়, এই সমস্ত প্রক্রিয়া এবং বিষয়কে মাত্র ৫মিনিট ৫৪ সেকেন্ড সময়কালে তুলে ধরা
হয়েছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটিতে।
পরিচালক কৌশিক রায় (পাউ) এর পক্ষে সম্পূর্ণ একা হাতে
প্রায় ২০০টি শ্যাডো পাপেট ও তার প্রেক্ষাপট এঁকে, তারপর সেগুলিকে কেটে, জুড়ে নানান বুদ্ধি প্রয়োগ করে সেগুলিকে সচল করার কাজটি অত্যন্ত
ধৈর্য্য, নিষ্ঠা এবং পরিশ্রমের
ছিল।
চিত্রগ্রাহক সৌভিক দে অত্যন্ত
আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের সাথে চিত্রগ্রহণ করেছেন।
সম্পূর্ণ শ্যুটিংটি
পরিচালক এবং চিত্রগ্রাহক মাত্র এই দুজন মিলেই করেছেন, তাই পরিচালকের একার হাতে এতগুলো শ্যাডো
পাপেটকে নাড়িয়ে সচল ও প্রাণবন্ত করার কাজটি ছিল আরো কঠিন ও পরিশ্রমের,আর তাই শ্যুটিং চলাকালীন পরিচালককে সার্বিক ভাবে প্রচন্ড
সহযোগীতা করেছেন চিত্রগ্রাহক সৌভিক দে।
দীর্ঘদিনের অক্লান্ত
পরিশ্রমসাধ্য শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর, পরিচালকের ভাবনা অনুসারে দীর্ঘদিন যাবৎ নানান পরীক্ষামূলক
চিন্তাভাবনা করে আন্তরিকতার সাথে ছবিটির সম্পাদনা করেছেন অনির্বাণ দেব।
এরপর গুণী সংগীত পরিচালক
মেঘ ব্যানার্জী টানা পাঁচদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে অসাধারণ আবহ সংগীত করেছেন, যা বিশেষ ভাবে প্রশংসনীয় হবে বলে পরিচালকের
বিশ্বাস। এই সংগীতে বিশ্বের নানান ধারার সংগীতের আশ্চর্য পরীক্ষামূলক মেলবন্ধন করে
অসাধারণ সুরসৃষ্টি করেছেন সংগীত পরিচালক মেঘ ব্যানার্জী, যা ছবির বিষয়বস্তুর সাথে দর্শকদের মনসংযোগ ঘটাতে
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
অবশেষে সম্পূর্ণ
চলচ্চিত্রটির সংগীত ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশসহ অন্তিম সম্পাদনার কাজটি অত্যন্ত
সহমর্মিতার সাথে করেছেন সম্পাদক প্রাণতোষ মন্ডল।
দেশী-বিদেশী নানান ফেস্টিভ্যালে "ছায়াছবি/The Film making" স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি ক্রমাগত প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রতিবেদন-অমিত দে
Post a Comment