সিধু আসছেন পদবী ক্যাকটাস নিয়ে
বাংলার সেরা হার্ড কোর
ব্যান্ড হলো ক্যাকটাস। এটি ভারতের অন্যতম সফল ব্যান্ড। বাংলা রক প্রজন্মকে তাঁরা বিশেষভাবে উজ্জীবিত করেছে৷ তাদের হাত ধরে বাংলার
যুবসমাজ পেয়েছে এক অন্য ধারার, অন্য ঘরানার গান। বাংলার তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত
হয় ক্যাকটাসের গানে।
১৯৯২ সালে জন্ম হয় ক্যাকটাসের।
আর ক্যাকটাস ব্যান্ডের ভাবনা সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় অর্থাৎ
সিধুর মস্তিষ্কপ্রসূত। একের পর এক জনপ্রিয় অ্যালবাম মুক্তি দিয়ে রীতিমতো দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দেয়
ক্যাকটাস। বাঙালি যুবসমাজের শরীরে কাঁটার মতো বিঁধে যায় ক্যাকটাসের গান। টেলিভিশন থেকে রেডিও সর্বত্র
চলতে থাকে শুধুই ক্যাকটাসের গান। তরুণ-তরুণীদের মুখে মুখেও ঘুরপাক খেতে থাকে ক্যাকটাসের গান।
ক্যাকটাসের জনপ্রিয় অ্যালবামের মধ্যে সেই যে হলুদ পাখি, রাজার রাজা, তুচ্ছ, নীল নির্জন ইত্যাদি। সেই যে হলুদ পাখি, শুধু তুমি এলে না, আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, নীল নির্জনে, হ্যালোজেন
প্রভৃতি শিরোনামের গানগুলো আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
ক্যাকটাস নামটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সিধুর নাম। ডাক্তারি জীবন ছেড়ে তিনি গানকেই পেশা হিসেবে
বেছে নেন। গানের প্রতি সৃষ্টি হয় তাঁর গভীর ভালোবাসা। সংগীত জীবনকে তিনি কখনোই
অবজ্ঞা করতে পারেন নি। প্রতিটা মুহূর্ত তিনি বেড়ে ওঠেন গানকে সঙ্গে নিয়ে। জীবনের ওঠাপড়াতে গান
তাঁকে শিকলের মতো আঁটকে রেখে দিয়েছে।
এই গান তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বহুদূর। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে
ক্যাকটাসের ছাব্বিশটা বছর। ক্যাকটাসের সাথে সাথে বেড়েছে তাঁরও
বয়স। আগামী ২৮ শে ডিসেম্বর সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ওরফে সিধু পা দিতে চলেছেন
পঞ্চাশে।
২৮ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় কলকাতার আইসিসিআর এর সত্যজিৎ রায়
অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হবে একটি সুন্দর সংগীত সন্ধ্যা। যে অনুষ্ঠানের নাম 'নাম সিধু পদবী ক্যাকটাস'। সিধুর পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন এ অনুষ্ঠানের। ক্যাকটাসের জনপ্রিয় সব
অ্যালবামের গান ও চলচ্চিত্রের গানের মাধ্যমে গানে-গল্প ভরে উঠবে এই বিশেষ সংগীত সন্ধ্যা। এ অনুষ্ঠানে দেখা মিলবে
অসংখ্য জনপ্রিয় মুখেদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অনুপম রায়, অনিন্দ্য বোস, উপল সেনগুপ্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সায়ন মিত্র, হৈমন্তী শুক্লা, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, গৌরব চ্যাটার্জি, পটা, জুন মালিয়া, রাহুল
ব্যানার্জি, সুব্রত সেন ও আরো
অনেকে। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুষ্ঠানে কাটবে কলকাতাবাসীর ২৮ শে ডিসেম্বরের রাত।
প্রতিবেদন-সুমিত দে
প্রতিবেদন-সুমিত দে
Post a Comment